গুলিতে নিহত মামুন কোর্টে মামলার হাজিরা দিতে এসেছিলেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার
রাজধানীর পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, মামুন জজ কোর্টে মামলার হাজিরা দিতে এসেছিলেন। তবে তিনি আসামি না বাদী সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে দুইজন দুর্বৃত্ত মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী রিপা জানিয়েছেন, আজ সকালে একটি মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে গিয়েছিলেন মামুন।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, ফুলহাতা টিশার্ট পরিহিত মামুন দৌড়ে এসে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকের সামনে দিয়ে প্রবেশ করেন। হোচট খেয়ে তিনি সেখানে পড়ে যান। এ মাস্ক পরিহিত দুই জন সিনেমার কায়দায় হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে করতে হাসপাতালে প্রধান ফটক থেকে একটু ভেতরে ঢুকে পড়েন। মামুনকে গুলি করে তারা কবি নজরুল কলেজের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
গুলিবিদ্ধ মামুনকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেলে নেওয়া হয়, পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে চারটি গুলি পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, তারিক সাইফ মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা। ঢাকায় আফতাবনগরে ভাড়া বাসায় থাকেন বলে জানা গেছে।
লালবাগ বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার আহসান উদ্দিন সামি বলেন, নিহত মামুন একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি একসময় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। তবে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ থেকেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন মামুন। গত বছর এই মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।
এএইচ
