ঢাকা, মঙ্গলবার   ১১ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২৭ ১৪৩২

১-১২ তম নিবন্ধিত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি পালন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৮ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশ চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি ও লংমার্চ পালন করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১-১২ তম নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত সনদধারী প্রার্থীরা।

সম্মিলিত এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক ফেডারেশন এর আয়োজনে রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে  রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। 

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত জোটের নির্বাহী -আমির আসহাব, নীলিমা চক্রবর্তী, জিএম ইয়াছিন, আব্দুল মমিন পলাশ, রুহুল আমিন পাখি, শাহ আলম, নাসরীন সুলতানা ৷ এছাড়াও  পরিচালকগণ ও বিভাগীয় প্রতিনিধি,জেলা কমিটি ও সাধারণ সদস্যরা এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, নিয়োগ পাওয়ার আশায় ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অদ্যবধি নিয়োগের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করে আসছে নিয়োগ প্রত্যাশীরা।  ২০০ দিনের অনশন,আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দাবী মানার আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে আলোচনায় বসে দাবী না মেনে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং অমানবিক আচরণ করে ও আমলাতন্ত্র বহাল রাখেন। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ১১ আগষ্ট ২০২৪  নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ নামা পাঠায়। যার স্মারক নম্বর ৩৭.০৫.০০০০.০১.৯৯..০০১২৪ । 

পরবর্তীতে প্রস্তাবনা কমিটি গঠন করে দীর্ঘ ১৬ বছরের গভর্নিং বডির অনৈতিক লেনদেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, বৈষম্য শিকার ১-১২ তম জন্য একটি বিশেষ গণ বিজ্ঞপ্তির প্রস্তাবনা করা হয়। এতে শিক্ষা উপদেষ্টা অনুমতি দেন। পরবর্তীতে আইনগত জটিলতা তুলে ৮ই সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়।

২০২৪ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর আন্দোলনের ফলে শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষাতের মৌখিক আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হতাশ হয়ে পড়েন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। এসময় এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় আইন মতামত/ভোটিং নামে সময়ক্ষেপণ ও তাল বাহানা করতে থাকে । 

আইন মতামত বন্ধ করে বিশেষ গণ বিজ্ঞপ্তির আইনগত অনুমতির জন্য ২০ শে অক্টোবর আন্দোলনের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টার স্বাক্ষাৎ চান। আইন উপদেষ্টা স্বাক্ষাৎ এ মৌখিক আশ্বাস প্রদান করেন। আইন মতামত/ ভোটিং শেষ করে ২৩শে ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিশেষ গণ বিজ্ঞপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

নিয়োগপ্রত্যাশীরা পরবর্তীতে জানতে পারে তাদের বাদ দেওয়ার অপকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। কিছু ৩৫+ দের নিয়োগ দেওয়ার জন্য আর কিছু ৩৫+ দের সনদের মেয়াদ নেই বলে বাদ দেওয়া ষড়যন্ত্র করা হয়। 

এনটিআরসি চেয়ারম্যান ও সচিব জানান, ১লা জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিংয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মিটিং শেষে জানানো হয়, কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

নিবন্ধনধারীদের যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়:

এনটিআরসিএ নিয়োগের উদ্দেশ্যে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ইউনিক রোল প্রদান না করে সনদ বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে একাধিকবার গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃতদের দিয়ে শূন্যপদ পূরণ না করে উক্ত শূন্যপদ পরবর্তি গণবিজ্ঞপ্তিতে চাহিদা চাওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাইনি বলা হলেও পরিবর্তিতে তার চেয়ে কম মার্কে বা পোস্ট ব্লক রেখে বা ১-১২ তমদের নিয়োগ কার্যক্রমের বাহিরে রেখে সুবিধামতো প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছে।
 
এমআর//