শেখ হাসিনার ভুয়া মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ইটিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২১ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাজানো দুর্নীতির ভুয়া মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম। দুদকের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) তার খালাসের রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে হলেও ন্যায় বিচার পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন আব্দুস সালাম।
এর আগে ২০১৬ সালে ২১ নভেম্বর একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দুদককে দিয়ে সাজানো মামলা করেন ক্ষমতচ্যূত শেখ হাসিনা।
তার আগেই ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য একুশে টেলিভিশনে প্রচার করায় আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায়ই দুদক তার সম্পদের হিসাব চেয়ে নেটিশ দেয়। কিন্তু বাস্তবে সেই নোটিশ তার কাছে পৌঁছায়নি। এটা ছিলো শেখ হাসিনার একটি জঘন্য কূটকৌশল।
দীর্ঘ ৯ বছর চলা এ মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মঙ্গলবার খালাসের রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। আর এতে করে দুদকের সকল মিথ্যা অভিযোগ ছিন্ন করে মামলায় খালাস পেলেন একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম।
জানা গেছে, একুশে টেলিভিশন সব সময় স্বাধীন সাংবাদিকতা বজায় রেখে দুর্নীতি অনিয়ম ও বিরোধীদের ওপর হামলা নির্যাতনের খবর প্রকাশ করে আসছিলো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ করায় হাসিনার রোষাণলে পড়েন একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান। তারপরও একুশে টেলিভিশনের স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অবশেষে ইটিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা মামলা করা হয়।
প্রসঙ্গত, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মোট ৭টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। সাজানো এইসব মামলায় কারাগারেও পাঠানো হয় তাকে।
তিনি কারাগারে থাকার সময় ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবাহান গোলাপের নেতেৃত্বে মাফিয়া এস আলম গ্রুপ দখল করে নেয় একুশে টেলিভিশন।
দীর্ঘ নয় বছর পর গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর আবারও একুশে টেলিভিশনের মালিকানা ফিরে পান ইটিভির চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম।
এমআর//
