হাসিনার রায় সম্প্রচার হবে সরাসরি, দেখা যাবে বড় পর্দায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০১:৩৭ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ রবিবার
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামীকাল সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে এসব মামলা করা হয়।
রায়ের বিষয়ে রোববার (১৬ নভেম্বর) প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি এবং সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছি। আগামীকাল এই রায়টি বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। একইসঙ্গে অন্য টেলিভিশনও বিটিভি থেকে তা সম্প্রচার করতে পারবে।’
এছাড়া, রয়টার্সও বিটিভি থেকে সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দা লাগিয়ে সরাসরি সম্প্রচারটি দেখানো হবে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণা করবেন। অন্য দুই বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই রায় দেওয়া হবে।
মামলায় পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে, আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়েছেন তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। এছাড়া, রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনেরও খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী।
এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামীম শুনানি পরিচালনা করেছেন। অন্যান্য প্রসিকিউটর ছিলেন বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন শুনানি করেন। রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
ঐতিহাসিক এই মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী দেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। এখন দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেসব অভিযোগের বিচার চলছে।
এএইচ
