কুঁড়িয়ে পাওয়া নবজাতক গেল নতুন মা-বাবা
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার নামাজ গ্রামের বাঁশ বাগানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত নবজাতকের দত্তক নিয়েছে ঢাকার বাড্ডায় বসবাসকারী নিঃসন্তান ব্যবসায়ী দম্পতি সানাউর রহমান ও সুমাইয়া।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এই দম্পতির হাতে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নামাজ গ্রামের হাকড় পাড়ে শিশুটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর ভিড় জমে যায় হাকড়ের নদীর পাড়ে।
পরে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক ডা. নাজিব হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন।
শার্শা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটির ভবিষতের জন্য শার্শা উপজেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। এরপর স্থানীয় পত্রিকায় উদ্ধারকৃত শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহী নিঃসন্তান ব্যক্তিদের আবেদন করতে বলা হয়। সে মোতাবেক ১২ জন দম্পত্তি শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের সানাউর রহমান ও সুমাইয়া দম্পত্তির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। তারা বর্তমান গুলশান, বাড্ডায় বসবাস করেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের আবেদনের পর আর্থিক সচ্ছলতা, সামাজিক অবস্থান ও সন্তান লালন-পালনের সক্ষমতা যাচাই করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সানাউরের স্ত্রী শিশুটিকে কোলে তুলে নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার সাহা, সমাজসেবা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, বিআরডিপি অফিসার সাকির হোসেন, নারী ও শিশু বিষয়ক অফিসার জাহান ই গুলশান ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশুটির দত্তক সানাউর রহমান ও সুমাইয়া জানান, তারা ১৫ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ পর্যন্ত তাদের আজও কোন সন্তান হয়নি। এজন্য পত্রিকায় খবর শুনে ছেলে শিশুটি নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। শিশুটিকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন তারা। এখন থেকে এ শিশুর বাবা ও মা আমরা দু‘জন।
তারা শিশুটিকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
এএইচ
