সচিবালয় / শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি
রাত পৌনে দুইটায়ও যে কারণে জেগে আছে সচিবালয়
C. Analyst
প্রকাশিত : ০২:০৮ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২৫ শুক্রবার
বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। এখানে প্রশাসনিক প্রায় সকল মন্ত্রণালয়ের প্রধান দপ্তর রয়েছে। এখানেই ৬ নাম্বার বিল্ডিং এর ১৮ তলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অবস্থান। আজ রাত পৌনে ২ টার দিকে সারেজমিনে দেখা গেলো এক ভিন্ন চিত্র। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এতো রাতেও আলো জ্বলতে দেখা গেলো। ভেতরে চলছে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ। জানা যায় আজ গভির রাত পর্যন্ত বিবিএস শিক্ষা ক্যাডারদের প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির চুড়ান্ত কাজ চলেছে।
এদিকে সচিবালয়ের পাশেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (শিক্ষা ভবন) প্রাঙ্গনে অনেক শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাকে অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। যেন তাদের এক দশকের পদোন্নতির খরা কাটার প্রহর গুনছিলেন শত শত ক্যাডার অফিসার।
জানা যায়, গত কয়েকদিনের টানা কর্মবিরতি (প্রভাষকদের) সাথে উচ্চ আদালতের প্রঙ্গণে ছুটোছুটির প্রহর আজ রাতে কাটার আকাঙ্ক্ষা তাদের মাঝে। এদিকে আজ পদোন্নতি জটিলতা সংক্রান্ত এক মামলার আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও আর দেরি করেনি। অবিরাম কাজ চলেছে মন্ত্রণালয়ের ডেস্কে ডেস্কে।
অবশেষে রাত পৌনে ২ টা নাগাদ শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার কাজ সম্পাদন করে এতোদিনের পদোন্নতি বঞ্চিত ১৮৭০ জন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার পদোন্নতির আদেশ জারি করেছে।
এই আদেশে শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের একাংশের গ্লানি দূর হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু এখনো পদোন্নতিযোগ্য হিসেবে পাইপলাইনে অপেক্ষা করছেন ৩৬ তম বিসিএস ও ৩৭ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার ব্যাচের কর্মকর্তারা। এই দুই ব্যাচ ( ৩৬ ও ৩৭) এর চাকরিতে যগদানের যথাক্রমে ৮ বছর ও ৭ বছর চলমান। উল্লেখ্য, ক্যাডার সার্ভিসে ৫ বছর চাকরি করলেই শর্তসাপেক্ষে পদোন্নতিযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
