ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৫,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩২

একুশে টেলিভিশনের কালো দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

একুশে টেলিভিশন শুধু নয়, গণমাধ্যমের এক অন্যতম কালো দিন ২৫ নভেম্বর। মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন হরণ করা হয়েছিল, তেমনি ২০১৫ সালের এই দিনে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল গণতন্ত্র চর্চ্চার সুযোগ। তৎকালীণ শাসক শেখ হাসিনার কৌশলী নির্দেশে লুটেরা এস আলম গং দখল করেছিল দেশের দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষ চ্যানেল একুশে টেলিভিশন। আটক করা হয়েছিল প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুস সালামকে। 

একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর চিরায়ত সংস্কৃতি চর্চ্চায় জনগণের আস্থার আঙিনা। 

২০০০ সালে যাত্রাশুরু করে জনমুখী সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের কারণে বারবার শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েছে একুশে টেলিভিশন। ফ্যাসিবাদি শাসকগোষ্ঠীর অধীনে একতরফা নির্বাচন আর বিরোধ মত দমনপীড়নের চিত্র তুলে ধরায় সেই রোষাণলেই বাধাগ্রস্ত হয় একুশের সম্প্রচার।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের কারণে ৬ জানুয়ারি গভীর রাতে কর্মস্থল থেকে তুলে নেওয়া হয় একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে। দিনের আলো ফুটতেই মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা সাজিয়ে বন্দী করে রাখা হয় কারাগারে। আর সেই সুযোগ ওই বছরেরই ২৫ নভেম্বর অলিগার্ক এস আলম গং দখল করে দেশের শীর্ষ এই গণমাধ্যম।

একুশের সেই কালো দিনের নেপথ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়নক তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকতাদের কয়েকজন। আর দখল প্রক্রিয়া জড়িত ছিলেন আব্দুস সোবহান গোলাপসহ আওয়ামী সমর্থকদের অনেকেই। যারা এস আলমকে একুশের চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে লুটতে থাকেন নিজস্ব ফায়দা। 

দীর্ঘ ৯ বছর লুটপাটে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর একুশে টেলিভিশন আবারও ফিরে পায় তার নিজস্বতা। জনদাবির মুখে আবারও হাল ধরেন একুশের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম। 

তাই আজ ২৫শে নভেম্বর দিবসটি একুশে পরিবারের জন্য শোকের দিন।

এএইচ