শেখ হাসিনার ব্যাংক লকারে মিললো ৮৩২ ভরি স্বর্ণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় রক্ষিত দুটি ভল্ট ভেঙে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারের সন্ধান পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে ভল্ট দুটি ভাঙা হয়। এ সময় ম্যাজিট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের অনুমতি নিয়ে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও দুদকের একটি দল ওই লকার দুটি খুলে। ওই লকার দুটি জব্দ করেছিল এনবিআরের গোয়েন্দা ইউনিট সিআইসি।
সিআইসির এক কর্মকর্তা জানান, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চে থাকা ৭৫১ ও ৭৫৩ নম্বর ভল্ট দুটি খোলার পর মোট ৮৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান মেনে।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় অভিযান চালিয়ে লকার দুটি জব্দ করা হয়। শেখ হাসিনার ৭৫৩ নম্বর লকার (চাবি নং ২০০) এবং ৭৫১ নম্বর লকার (চাবি নং ১৯৬)।
এনবিআর সূত্র জানায়, কর ফাঁকি ও আর্থিক অনিয়মের সন্দেহে লকার দুটি জব্দ করা হয়। একই দিন শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকের একটি শাখায় রক্ষিত আরেকটি ভল্ট খোলা হয়। তবে সেখানে কোনও স্বর্ণালঙ্কার বা মূল্যবান কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর এনবিআরের গোয়েন্দারা সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় শেখ হাসিনার একটি লকার (নম্বর ১২৮) জব্দ করে। ওইদিন একই শাখায় তার দুটি ব্যাংক হিসাবও পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হিসাবে প্রায় ১২ লাখ টাকা স্থায়ী আমানত (এফডিআর) এবং অন্যটিতে ৪৪ লাখ টাকা জমা ছিল।
তারপর ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সেদিনের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও আদালত নির্দেশনা দেয়।
এই আদেশে ফেরারি দুই আসামির সমস্ত সম্পত্তি ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করার জন্য জব্দকৃত লকার খোলা হচ্ছে বলে জানায় এনবিআর।
এএইচ
