কড়াইলে আগুনে পুড়েছে ১৫০০ ঘর, খোলা মাঠে আশ্রয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার | আপডেট: ১০:৫২ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনে ১৫০০ ঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনও নিহত বা নিখোঁজের তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। নিঃস্ব বস্তিবাসী আশ্রয় নিয়েছেন খোলা মাঠে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেন্টেনেন্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের কাছে নিহত হওয়ার কোনও সংবাদ নেই। তবে ছোটোখাটো আহত হতে পারেন কেউ কেউ। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রথমেই আমাদের খুবই বেগ পেতে হয়েছে আগুনের সোর্সের কাছে পৌঁছাতে। ফায়ার ফাইটাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দ্রুত আগুন আটকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
আগুনের উৎস সম্পর্কে তিনি বলেন, আগুন নেভানোর কাজ করার সময় দেখা গেছে, যত্রতত্র বিদ্যুতের তার রয়েছে, প্রত্যেক বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। আগুনের সোর্স তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি সবগুলো বিষয় তদন্তের পর জানা যাবে।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, শীতকাল এসেছে। আগামী দুই মাস আমাদের ভাষায় আগুনের সিজন বলা হয়। অন্য সিজনের চেয়ে এই সিজনের আগুনের ঘটনা বেশি দেখতে পায়।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটালে আগুন দ্রুত নেভানো যেত। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হেলিকপ্টার যখন উড়ে তখন বাতাসের জন্য আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে যায়। এখানে হেলিকপ্টার দিয়ে নেভানোর মতো আগুন নয়।
এদিকে, আগুনে ঘর হারানো মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন মহাখালী টিএন্ডটি মাঠে। অনেকেই ত্রিপল, পলিথিন ও কাপড়-কম্বল বিছিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এএইচ
