ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৫,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩২

জয় ও পুতুলের কারাদণ্ড ৫ বছর করে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৩১ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছর এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিরুদ্ধে দুদক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। 

এ তিন মামলায় মোট ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিন মামলার আসামি শেখ হাসিনা। জয় ও পুতুল পৃথক এক মামলার আসামি।

মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জয়ের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপর মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত

এই তিন মামলায় শুরু থেকে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পলাতক রয়েছেন। তবে রাজউক-এর সাবেক সদস্য খুরশীদ আলম কারাগারে রয়েছেন। 

এর আগে, ২৩ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এই তিন মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আজ ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।  

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরো দু’জনসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।

এছাড়াও রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদি হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেয়া।

এএইচ