রাত যাপনের সুযোগ পেয়েই সেন্টমার্টিন গেল ১১৭৪ পর্যটক
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
নীল জলরাশি আর প্রবালের মায়াজালে মোড়া বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর দ্বীপটি। আকাশের নিচে রাত কাটানোর অপূর্ব সুযোগ ফিরে পেয়ে তিনটি জাহাজে ১১৭৪ জন পর্যটক গেল সেন্টমার্টিনে।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ভোর ৭টা থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে শুরু হয় জাহাজ চলাচল।
ভোর ৫টায় কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে লাইন ধরেন পর্যটকরা। দুই লাইনে সাড়ি সাড়ি একেকজন করে ট্রাভেল পাশ চেক করে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা।
শীত উপক্ষো করে পর্যটকরা সকাল ৭টায় কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া জেটি থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ দুপুরের আগেই পৌঁছে যায় প্রবালখচিত স্বপ্নের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। আগামীকাল বেলা ৩টায় সেই জাহাজ আবার ফিরবে কক্সবাজারে।
প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি পর্যটক এই প্রবাল দ্বীপটিতে যেতে পারবেন না। দ্বীপের পরিবেশের জন্য সহনীয় এই সীমা ঠিক করে দিয়েছে প্রশাসন।
সমুদ্রের শান্ত মৌসুম, শীতের ছুটি-সব মিলিয়ে আবারও জমে উঠছে দেশীয় পর্যটনের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই গন্তব্য।
দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আর নিরাপত্তা- সব ক্ষেত্রেই কড়া নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মান্নান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে প্রত্যেক পর্যটককে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী একদিনে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন না। এটি নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে প্রথমদিন অনলাইনে নিবন্ধন ছাড়া টিকিট বিক্রির অভিযোগে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা দুই মাস পর্যটকরা এই ভ্রমণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় নভেম্বর মাসে কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে আগ্রহ দেখাননি। তাই কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল এতোদিন বন্ধ ছিল।
এএইচ
