দেশে ‘সোফি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া’ ন্যাপকিনের উদ্বোধন করেছে ইউনিচার্ম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার | আপডেট: ০৬:৪৭ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিন ‘সোফি আন্টি-ব্যাকটেরিয়া’ উদ্বোধন করেছে ইউনিচার্ম গ্রুপ। রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী।
বৈশ্বিক নারী স্বাস্থ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করতে এবং দেশে পূর্ণাঙ্গ ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করার অংশ হিসেবে ইউনিচার্ম গ্রুপ নতুন এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারে আনে। নারীর স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি দু’টি উদ্যোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে—
১) বাংলাদেশের নারীদের প্রয়োজন বিবেচনায় তৈরি সোফি আন্টি-ব্যাকটেরিয়া স্যানিটারি প্যাড’র স্থানীয় উৎপাদন।
২) একই সঙ্গে দেশের ১০ লাখ কিশোরীর কাছে পৌঁছে যাবে এমন একটি বিস্তৃত পিরিয়ড এডুকেশন উদ্যোগ ‘মনের কথা উইথ সোফি’র উদ্বোধন।
ইউনিচার্ম জানায়, স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের নারীদের জন্য আরও নিরাপদ, উচ্চমানের ও নির্ভরযোগ্য পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা। একই সঙ্গে পিরিয়ড স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা ছড়াতে অনলাইন ক্যাম্পেইন, বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে লাইভ সেশন এবং পরবর্তীতে ঢাকার স্কুলগুলোতে সরাসরি ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউনিচার্ম কর্পোরেশনের কর্পোরেট অফিসার ইউজি ইকেদা বলেন, “বাংলাদেশে জাপানের বিশ্বমানের সোফি ব্র্যান্ড উপস্থাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত। স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবনী আন্টি-ব্যাকটেরিয়া প্যাড উৎপাদন এবং বিস্তৃত পিরিয়ড শিক্ষা—এই দুই প্রতিশ্রুতির মাধ্যমেই আমাদের যাত্রা শুরু। প্রতিটি মেয়ের সম্ভাবনা উন্মোচনে পিরিয়ড যেন বাধা না হয়।”
ইউনিচার্ম ইন্ডিয়ার সেলস সিনিয়র ডিরেক্টর অশীষ কুমার ভার্মা বলেন,“বাংলাদেশে স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে সোফি-কে পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপন করতে পারা আমাদের জন্য বড় অর্জন। শক্তিশালী ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা পণ্যটি দেশের প্রতিটি নারীর কাছে পৌঁছে দিতে চাই।”
জেএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাবীর হোসেন বলেন,“সোফি শুধু একটি স্যানিটারি প্যাড নয়—এটি আরাম, নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিশ্রুতি। পিরিয়ড স্বাস্থ্য নিয়ে নীরবতা দূর করা এবং সঠিক জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
ইউনিচার্ম একটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ড, যা ‘সোশ্যাল ইনক্লুশন’ দর্শনে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে বেবি কেয়ার, ফেমিনিন কেয়ার এবং এল্ডারলি কেয়ার পণ্য সরবরাহ করে। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর উচ্চমানের দৈনন্দিন পণ্য দিয়ে ভোক্তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।
এমআর//
