রাবির ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:৪১ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ও পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সিন্ডিকেট। এর মধ্যে তিনজন শিক্ষককে বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল এবং তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের তারিখ থেকে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আরও বলা হয়, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১০ বছর তিনি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন না। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চূড়ান্ত শাস্তির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার এবং ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সিন্ডিকেট।
তবে শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ বহিষ্কৃতদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
জানা গেছে, সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন যোগ্যতার ফলাফল না থাকা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশিক্ষকসুলভ আচরণ ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়াসহ নানান অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরের দিকে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনযায়ী তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে নিজের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে চলতি বছরের আগস্টের শুরুর দিকে। পরে এ ঘটনার পর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন এবং ওই সময় ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।
গত ১১ মে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ এবং একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটক করা হয়। এ ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এএইচ
