মা-মেয়ে হত্যায় গৃহকর্মী আয়েশার দোষ স্বীকার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন রিমান্ড শেষে আয়েশাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ওসমান মাসুম। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়।
পরে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান।
গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় ফুফুশাশুড়ির বাড়ি থেকে আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আয়েশার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে তার স্বামী রাব্বির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিনদিনের রিমান্ড শেষে গত ১৪ ডিসেম্বর রাব্বি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ ডিসেম্বর আসামি আয়েশা বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত ৮ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৭টার সময় তিনি নিজ কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তিনি আনুমানিক বেলা ১১টার সময় বাসায় ফেরত আসেন। এসে দেখেন— তার স্ত্রী গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা।
তারা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে। তখন মেয়ের ওই অবস্থা দেখে তাকে উদ্ধার করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়— আসামি গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় একটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে বের হয়ে যান।
অজ্ঞাত কারণে সকাল ৭টা ৫১ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় বাদীর স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করা হয়েছে।
এএইচ
