রাবিতে ৬ ডিনের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০৬ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ সব দপ্তরের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা।
সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি আকিল বিন তালেব বলেন, জুলাইয়ের এক বছর পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী ফ্যাসিস্টদেরকে প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা হয়েছে। সিনেট কার্যকর না হওয়ায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সিন্ডিকেটে ৬ জন আওয়ামীপন্থী ডিন রয়েছেন। তারা এখানে বসে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা চাইনা ক্যাম্পাসে আওয়ামী পন্থী কোনো শিক্ষক মাথাচারা দিয়ে উঠুক। যারা এই আওয়ামী পুনর্বাসন করতে চায় তাদেরকেও পদত্যাগ করতে হবে।
এদিকে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ মোটামুটি সব দপ্তরে আওয়ামীপন্থী ডিনদের দপ্তরগুলো তালাবদ্ধ। আমিও এটাই চাই, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তালাবদ্ধ থাকুক। সঙ্গে একটা তালিকা করেছি বিগত জুলাইয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান করা শিক্ষকদের। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে থাকা তালিকাও আহবান করছি অনুগ্রহপূর্বক। আমার তালিকায় অনেকে বাদ পড়তে পারে সেটা আপনাদের থেকে সংগ্রহ করবো আগামী ৩ দিনের মধ্যে।
পদত্যাগের বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ বলেন, আমি এই পরিস্থিতিতে ডিন হিসেবে দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছি না। উপাচার্যের কাছে আমি দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি। উপাচার্য যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই হবে।
কর্মসূচিতে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি আকিল বিন তালেব, রাকসু প্রতিনিধি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্তিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২টি অনুষদের মধ্যে আওয়ামীপন্থী 'হলুদ প্যানেল' থেকে ছয়জন ডিন নির্বাচিত হন। তাদের মেয়াদ গত ১৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। কিন্তু উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের দায়িত্ব বহাল রাখার নির্দেশ দেন।
এমআর//
