ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫,   পৌষ ৯ ১৪৩২

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের চাকরি দশম গ্রেডে উন্নীত, প্রজ্ঞাপন জারি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:১১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চাকরি দশম গ্রেডে উন্নীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন শিক্ষকরা।

গত ১৫ ডিসেম্বর সই করা প্রজ্ঞাপনটি আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বর্তমান গ্রেড ১১ (স্কেল ১২৫০০-৩০২৩০) থেকে দশম গ্রেড (স্কেল ১৬০০০-৩৮৬৪০) (গেজেটেড কর্মকর্তা)-এ উন্নীত করা হলো।

১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রাপ্য নতুন গ্রেডের বেতন পরবর্তী মাসে জানুয়ারিতে যুক্ত হবে।

এখন প্রধান শিক্ষকদের মূল বেতন শুরু হবে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে, যার সর্বোচ্চ ধাপ ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা। এত দিন প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতন পেতেন। এই গ্রেড অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের মূল বেতন শুরু হতো ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। এর সর্বোচ্চ ধাপ ৩০ হাজার ২৩০ টাকা।

সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম থেকে বাড়িয়ে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের সম্মতি অনুযায়ী অর্থ বিভাগ সম্মতিজ্ঞাপন করে। 

এ ছাড়া প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিও অনুমোদন দেয়। সংশ্লিষ্ট সব ধাপ শেষ করে এখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়েছে, সকল প্রধান শিক্ষককে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরকারি আদেশ জারির তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকগণকে ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ(বিটিপিটি) সমাপ্ত করতে হবে।
 
এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

এএইচ