কনকটে ঠাণ্ডায় কাবু মেহেরপুর, তাপমাত্রা নামল ৮ ডিগ্রিতে
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার
গেল তিন দিন ধরে মেহেরপুর জেলায় সূর্য দেখা না মিললেও তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছিলো। হঠাৎ আজ সকালে তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে চলছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে জনজীবনে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ছয়টায় মেহেরপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের গড় আদ্রতা ছিলো ৯৬%। যা এবছরের মধ্যে মেহেরপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে মনে করা হচ্ছে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় পড়তে শুরু করে। একই সাথে বেড়েছ শীতের তীব্রতা। ফলে আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে। সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
সকালে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষগুলো শীত নিবারনে আগুনের উষ্ণতা নিচ্ছেন। সড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালানোর দৃশ্য চোখে পড়েছে। অন্যদিকে বাড়তি শীতের পোশাক নিয়ে চলাফেরা করছেন শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষেরা। ফসলে মাঠে ঠিকমত যেতে পারছেনা কৃষক।
গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে আজ বুধবার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জেলায় হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে চলছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। হাড় কাঁপানো শীতে শুধু জনজীবন নয়, জবুথবু হয়ে পড়েছে প্রাণীকূলও। কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। ছিন্নমূল মানুষের মাঝে নেমে এসেছে হাহাকার। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন তারা।
সদর উপজলোর বন্দর গ্রামে সবজি ক্ষেতে করা শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, গেল তিনদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুরু হয়েছে ঘন কুয়াশা। রাস্তায় কিছু দেখা যাচ্ছেনা। প্রচণ্ড শীতে কাজ করা খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে গেছে। আর কাজ না করলে খাওয়া জুটবে না। তাই বাধ্য হয়ে জমিতে কাজ করছি।
বুড়িপোতা গ্রামের ভ্যানচালক আলমাস হোসেন বলেন, উত্তরের হীমেল হাওয়ায় ভ্যান চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। তবুও পেটের তাগিদে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। বাজারে সবজি নিয়ে এসেছি। বিক্রি হলেই চলে যাব আজ আর ঘর থেকে বের হবোনা।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে যেসব শীত বস্ত্র এসেছে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। যেখানেই শীতার্ত মানুষের কষ্ট হচ্ছে সেখানেই উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা ছুটে যাচ্ছে। এছাড়া আরও শীত বস্ত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। শুধু সরকারিভাবেই নয়, সমাজের বিত্তবানদের প্রতিও ছিন্নমূল অসহায় শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
এএইচ
