ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের দাম বৃদ্ধি, অস্বস্তিতে চাষীরা (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৪:০০ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২২ শনিবার

দেশে সারের সংকট নেই। তবে কয়েকটি জেলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি নেয়ার অভিযোগ কৃষকদের। অবশ্য ইউরিয়ার দাম কিছুটা বৃদ্ধিতে আমন আবাদ নিয়ে অস্বস্তিতে চাষীরা। এদিকে, কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে কেউ কৃত্রিম সংকটের সুযোগ পাবে না, বলছে কৃষি বিভাগ।

নাটোরে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিলাররা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। তবে ডিলাররা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দাম ও নিয়মেই সার বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে বিএডিসি বলছে, ডিএপি ও পটাশসহ কোনো সারেরই সংকট নেই।

চাষীরা জানান, টাকা দিয়েও সার পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে ইউরিয়ার বস্তা ৮শ’ টাকা সেখানে কিনতে হচ্ছে হাজার টাকায়। পটাশ সার ৭৫০ টাকা হলেও কিনতে হচ্ছে ১৫শ’ টাকায়।

নাটোরের সার ডিলার আলফাজুল আলম বলেন, “সরকারি নিয়মে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক সময় যে বরাদ্দের চেয়ে কৃষকদের চাহিদা কিছু হলেও বেশি থাকে।”

নাটোর বিএডিসি গুদাম কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, “বরাদ্দ অনুযায়ী আমরা সার বিতরণ করছি। সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে, কোন সংকট নেই।”

কুষ্টিয়ায় ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ী কেউই নিয়ম মানছেন না। সরকার শুধুমাত্র ইউরিয়ার দাম বাড়ালেও, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অন্য সারের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষকরা জানান, সরকারের খুব অভাব। সরকার রেট করেছে ২২ টাকা, আমরা কিনতে গেলে নিচ্ছে ২৪-২৫ টাকা।

ডিলাররা বলছেন, পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় বেশি দামে কিনে তা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর অনিয়ম রোধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেছে কৃষি বিভাগ।

কুষ্টিয়া বিএডিসি’র সার ডিলার এ এম জুবায়েদ রিপন বলেন, “কাগজে-কলমে বরাদ্দ আছে কিন্তু বিএডিসি কোন সার সরবরাহ করতে পারছে না। দুই মাস ধরে পটাশ সার পাই না।”

কুষ্টিয়ার খামার বাড়ি উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, “প্রত্যেকটা ব্লকে যে খুচরা ডিলার আছে তাদেরকে মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

গাইবান্ধায়ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ কৃষকদের। ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও পটাশসহ সব ধরনের সারে বস্তাপ্রতি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে।

ইউরিয়ার দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা বাড়ানো হলেও কৃষি বিভাগের কঠোর মনিটরিংয়ে সারের কোনো সংকট নেই শস্যভাণ্ডার বলে পরিচিত রংপুরে।

রংপুর উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশরাফুন্নাহার বলেন, “পূর্বের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে কোন অনিয়ম দেখছি না।”

সংকট নেই রাজবাড়ী, নরসিংদী, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়ও। তবে ইউরিয়ার দাম বাড়ায় চলতি আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে কৃষক।

এএইচ