ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ডিম খান দিনে ৩টা

প্রকাশিত : ০৪:৪১ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১০:১৯ এএম, ৭ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার

শরীরকে সুস্থ্য ও সবল রাখতে ডিম অন্যতম একটি খাদ্য উপাদান। একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩টি করে ডিম খাওয়া উচিত। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানার বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণা শেষে এমনই পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

গবেষকদের তথ্য মতে, ডিমের কার্যকারিতার ওপর তাদের এ গবেষণায় ১৫২ জন অতিস্থুল ব্যক্তিদের তিনটি দলে ভাগ করা হয়। একটি দলকে বলা হয়, ব্রেকফাস্টে যা ইচ্ছে তাই খেতে। দ্বিতীয় দলকে বলা হয়, ব্রেকফাস্টে দুইটি করে ডিম খেতে। তৃতীয় দলকে বলা হয় ব্যাগেলস খেতে। রেজাল্টে দেখা গেছে, যারা রোজ দুইটি করে ডিম খেয়েছেন, তারা বাকি দুই দল থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি ওজন ঝরিয়েছেন ও ৩৫ শতাংশ পেটের মেদ ঝরিয়েছেন। এ গবেষণার ফলালের ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ৩টি করে ডিম খেলে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি হৃদরোগসহ আরও কয়েকটি রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে দাবি করেন গবেষকরা।

হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়: ডিমে থাকা প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ রক্তে থাকা ট্রাইগ্লিসারিড লেভেল কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। যার জেরে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে, একটি ডিম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ কমিয়ে দেয়। শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

বয়সকে ধরে রাখে: বার্লিনের বিখ্যাত হেল্থ সেন্টার Charité-র গবেষণা বলছে, ডিম ত্বকের বলিরেখা পড়তে দেয় না। ফলে বয়স বৃদ্ধিজনিত ত্বকের সমস্যা কমিয়ে দেয়। চামড়ায় উজ্জ্বলতা আনে। ত্বকের ক্যান্সারও রোধ করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, ডিমের কুসুমে প্রাকৃতিক হলুদ রং থাকে। ওই রঙে প্রচুর পরিমাণ ক্যারোটেনয়েড থাকে। যা ত্বককে উজ্জ্বল করে।

প্রসবজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমায়: একটি ডিমে ০.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন B9 থাকে, যাকে ফলিক অ্যাসিডও বলা হয়। গর্ভাবস্থায় শরীরে ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম হলে শিশুর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ঠিক মতো তৈরি হয় না। ফলে নার্ভের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ভালো রাখে চুল, ত্বক ও লিভার: ডিমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন B12, বায়োটিন ও প্রোটিন থাকে। যা চুলের বৃদ্ধি ও চামড়ার জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডিমের কুসুম চুলের জন্য দারুণ উপকারী।

ভালো রাখে চোখ: ডিমে থাকা প্রচুর পরিমাণ লিউটিন, ভিটামিন A ও zeaxanthin চোখের জন্য খুবই উপকারী। দিনের আলোয় চোখের উপর যে চাপ পড়ে, তা কমিয়ে দেয়। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

আরকে/ডব্লিউএন