ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

১৩ ও ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষা কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

প্রকাশিত : ১১:১৭ এএম, ৪ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:১৭ এএম, ৫ জুলাই ২০১৭ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাতালিকা তৈরি করে ৬৫১ জনকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ না করে ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না পৃথক এক রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দৈতবেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে  রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে উত্তীর্ণদের জেলা ও উপজেলা কোটা করে তাদের কেন নিয়োগ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ না দিয়ে ১৩ এবং ১৪তম (এনটিআরসিএ) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তারপর নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মো. আমজাদ হোসেন ও মো. হান্নানসহ ৬৫১ জন রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত।

রিটে বলা হয়, প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করেনি এবং নিয়োগ না দিয়েই আবার ১৩ এবং ১৪তম পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ (এনটিআরসিএ) আইনের ২০০৫ সালের ৮(ঘ) এবং ১০ এর (১)(২) এর পরিপন্থী। সংবিধানের ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ নিশ্চিত করার পর সরকার পরবর্তী বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্তু (এনটিআরসিএ) এ সব সিদ্ধান্ত বৈষম্য ও সংবিধান পরিপন্থী বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।