বিচারক অপসারন নিয়ে সিনিয়র আইনজীবী ও অ্যামিকাস কিউরিদের ভিন্ন মত
প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:০৫ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় এখন কোন পদ্ধতিতে বিচারক অপসারন হবে তা নিয়ে সিনিয়র আইনজীবী ও অ্যামিকাস কিউরিরা ভিন্ন মত দিয়েছেন। কারো মতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় শূন্যতা বিরাজ করছে আর এই শূন্যতা কাটাতে সংসদকেই আইন করতে হবে। আবার অনেকে মনে করছেন আগের অবস্থা সুপ্রিম জুডিশিয়াল ব্যবস্থা বলবৎ আছে বলে এখন ধরে নিতে হবে।
বাহাত্তরের সংবিধানে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ছিল সংসদের হাতে। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে ৯৬ (২) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা হয়।
পরে ১৯৭৭ সালে সেনাশাসক জিয়াউর রহমান সামরিক আদেশে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে দেওয়া হয়। এরপরই তার শাসনামলেই পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান সংবিধানে স্থান পায়।
২০১০ সালে আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করলেও পুর্ণাঙ্গ রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে অনুমোদন করেন। ২০১১ পঞ্চদশ সংশোধনীতেও তা বহাল রাখা হয়।
এরপর সংসদের হাতে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা দিয়ে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনী আনা হলে তাতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাদ দেওয়া হয়।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধানের যে অনুচ্ছেদ সংসদ বাতিল করেছে, সেটি আপনা-আপনি পুনঃস্থাপন হওয়ার সুযোগ নেই। এটি করতে হলে সংসদকেই করতে হবে। এ অবস্থায় শূন্যতা বিরাজ করছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে মামলার কয়েকজন অ্যামিকাস কিউরি মনে করছেন ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় আগের অবস্থা অর্থাৎ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা বলবৎ আছে বলে এখন ধরে নিতে হবে।
আবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বলবৎ থাকলেও তাতে পদ্ধতিগত আরও সুনির্দিষ্টতা দরকার বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
তবে পুর্ণাঙ্গ রায়ে এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা থাকবে বলে ধারনা করছেন তারা। দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে প্রয়োজনে জাতীয় সংসদ আইন করতে পারে।