ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নাশতায় কী খাবেন, কী খাবেন না

প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ৭ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:১৬ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার

খালি পেটে সবকিছুই যেন খাদ্যময়! হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, সেটাই তখন অমৃত। তবে সকালবেলার প্রথম খাবার একটু বাছবিচার করে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

অনেক খাবারই আছে, যেগুলো খালি পেটে খেলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে শরীরের ওপর। দিনের বাকি সময়ে ভোগাতে থাকে অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা। আবার কিছু খাবার আছে, যা সারা দিনের জন্য শরীর-মন দুটোরই শক্তি জোগাবে ও প্রশান্তি দেবে। ব্রাইট সাইডে সম্প্রতি এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। আসুন জেনে নিই এক ঝলকে।

ক. যেসব খাবার খাবেন

বাদাম

নাশতায় বাদাম থাকলে আপনার পরিপাক প্রক্রিয়া ভালো করে। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রের পিএইচের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মধু

মধু আপনার মন ও শরীর সতেজ করে তুলতে সহায়তা করে। খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়াও শক্তিশালী করে। মস্তিষ্কের কাজ করে ত্বরান্বিত।

তরমুজ

খালি পেটে তরমুজ খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিনারেল পাওয়া যায়। এছাড়া এতে উচ্চমাত্রায় লাইপেন থাকার ফলে এটা আপনার চোখ ও হƒৎপিণ্ডও সুস্থ রাখে।

ওটমিল

ওটমিল পাকস্থলীর চারপাশে একটি সুরক্ষা দেয়াল তুলে দেয়। এতে করে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পাকস্থলীর দেয়ালের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। এ ছাড়া এতে  দ্রবণীয় আশ থাকায় কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে রাখে অনেকখানি।

পরিজ

খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়ার ফলে শরীর থেকে টক্সিন ও ভারী সিসা দূর করে দেয় পরিজ। খাবার পরে তৃপ্তি ভাবও আসে। যার ফলে বেশি খেতে হয় না।

গম

২ টেবিল চামচ গমে ১৫ শতাংশ ভিটামিন ‘ই’ এবং ১০ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড থাকে। এ ছাড়া হজম প্রক্রিয়ার কাজটি সহজ করে তোলে গম।

ডিম

সকালের নাশতায় ডিম দিনের পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণ নিশ্চিত করে। ডিম খেলে ক্ষুধা কম লাগে। যার কারণে বেশি খেয়ে মোটা হতে হয় না।

খ. যা খাবেন না

দিনের প্রথমভাগেই যদি বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হয় তবে ওজন কমানোর চেষ্টা বৃথা যেতে পারে। খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সকালের নাস্তা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও কিছু খাবার হতে পারে ওজন বৃদ্ধির কারণ।

মিষ্টিজাতীয় খাবার

খালি পেটে মিষ্টি খাবার খেলে ঝামেলা হতে পারে। মিষ্টিজাতীয় খাবার ইনসুলিনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়; যা পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

শসা ও সবুজ শাকসবজি

কাঁচা শাকসবজিতে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে। বুকজ্বালা, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথার ঘটনাগুলো হতে পারে খালি পেটে শসা বা সবুজ শাকসবজি খেলে। শসা ও সবজি খাবেন দুপুরে।

লেবুজাতীয় খাবার

লেবুজাতীয় খাবার খালি পেটে খেলে অম্বল বা গ্যাসট্রিক হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

মুচমুচে খাবার

খালি পেটে ইস্ট আছে, এমন খাবার খেলে পেট ফেঁপে যায়। জ্বালাপোড়াও করতে পারে।

টমেটো

টমেটোতে উচ্চমাত্রায় টনিক অ্যাসিড থাকে। এটি পেটে অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দিতে পারে। পরবর্তী সময়ে এ কারণে গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার পর্যন্তও গড়াতে পারে।

মসলাজাতীয় খাবার

বেশি মসলাজাতীয় খাবার পেটে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া খাবার হজমেও বাধা সৃষ্টি করে।

কোমল পানীয়

সকাল সকাল খালি পেটে কোমল পানীয় খেলে খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়।

আলুচপ

সকালে খিচুড়ির সঙ্গে ঘরে তৈরি গরম আলুচপ- নাস্তার এই পদ শুনেই হয়ত আপনার ঘুম কেটে যাবে। তবে শুধু এই চপেই মিলবে প্রায় ৩২৯ ক্যালরি যা পুরো একবেলার খাবারের চাইতেও বেশি।

মাফিন

মুখে এর স্বাদ স্বর্গীয় মনে হলেও স্বাস্থ্যগত দিক থেকে তা নাও হতে পারে। ওজনে একটি মাফিন সাধারণত মাত্র ৭০ গ্রাম হলেও, থাকে অন্তত ২২০ ক্যালরি। তাই মাখন, প্রক্রিয়াজাত আটা কিংবা ময়দা আর চিনিতে ভরপুর এই খাবার ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

স্টাফড ফ্রেঞ্চ টোস্ট

দুধ-ডিমে ভেজানো ভাজা পাউরুটি হয়ত ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেবে। তবে যদি ওজন কমাতে চান তবে খাবারটি স্মৃতি রোমোন্থন ছাড়া আর কোনও কাজে আসবে না। কারণ এতে সাধারণত ২২৯ ক্যালরি থাকে। সুঠাম দেহ পাওয়ার লক্ষ্য থেকে আপনাকে দুইটি কারণে দূরে সরাবে খাবারটি।

জ্যাম ও জেলি

ফল থেকে তৈরি এই সুস্বাদু এই খাবার সামনে পেলে যেন পুরো কৌটাই শেষ করে ফেলতে মন চায়। তবে সামলে নিন নিজেকে। কারণ এতে আছে প্রচুর চিনি আর চিনি মানেই ক্যালরি। তাই ওজন কমানোর খাদ্যাভ্যাসে জ্যাম কিংবা জেলি থাকা উচিত নয়।

//এআর