ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

শরীর ঠিক রাখতে চাই

প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৯:১৪ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার

শরীর ঠিক রাখতে প্রতিদিনই আমরা নানা নিয়ম মেনে চলি। ব্যায়াম করার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে কাজ করি। কিন্তু আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে কিছু সহজ সমাধান। যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে কাজ করে। সে রকমই একটি পদ্ধতি হলো লবণপানি। পানির মধ্যে থাকা ‘নেগেটিভ আইকন’ এর সঙ্গে মিশে ইলেকট্রিকাল চার্জেসের মাত্রা বাড়ায় লবণপানি। লবণপানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে শক্তির ঘাটতি পূরণ হয়।

লবণপানির উপকারিতা

আমরা যে পানি পান করি তা স্বাভাবিক নিয়মেই আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ পানির সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে যদি পান করি তাহলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে লবণ। ফলে সহজেই পানির মধ্যে থাকা উপকারি উপাদান শোষণ করতে পারে শরীর।

হজম ক্ষমতার উন্নতি

আমাদের স্যালিভার গ্যাল্ডকে অ্যাকটিভ করে লবণপানি। ফলে বেশি মাত্রায় স্যালাইভা উৎপাদিত হয়। এর ফলে খাবার হজম করতে সমস্যা হয় না। লবণের প্রভাবে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং কিছু এনজাইমের ক্ষরণও বেড়ে যায়। এসব উপাদান খাবারকে ভেঙে ফেলে ও প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। একইসঙ্গে বদ হজম-গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে আসে।

হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে

প্রতিদিন আমাদের শরীরে কম-বেশি ৮ গ্রাম লবণের প্রয়োজন। শরীরে দীর্ঘ দিন ধরে লবণের ঘাটতি থাকলে নানা রকম ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যার মধ্যে রয়েছে মেটাবলিক ডিজঅর্ডার, হার্ট ডিজেজ, কগনিশান লস প্রভৃতি। লবণের ঘাটতি থাকলে রেনিন নামে এক ধরনের এনজাইম এবং অ্যালডোস্টেরন নামে এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই দুইটি উপাদানের মাত্রা বাড়লে শরীরে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে। একইসঙ্গে ইনফ্লেমেটরি এজেন্টের মাত্রা বাড়ে। ফলে সারা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রণাসহ বিভিন্ন জটিলতা প্রকাশ পায়।

ঘুম ভালো হয়

গবেষণায় দেখা গেছে, ভালো ঘুম না হওয়ার পিছনে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্ট্রেস দায়ী। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে পান করুন। ঘুমের সমস্যা দূর হবে। কারণ অক্সিটসিন নামক হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায় লবণ যা স্ট্রেস লেভেল কমানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটি দূর করে।

শরীরকে বিষমুক্ত করে

অনেকের হজমে সমস্যা হওয়ায় তাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্রাক্টে হজম না হওয়া খাবার জমতে শুরু করে। জমতে থাকা এই বর্জ্য পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত এবং কোলোনে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। একইসঙ্গে শরীরের বিশেষ কিছু অংশে টক্সিনের মাত্রাও বাড়ে। ফলে ধীরে ধীরে শরীর ভাঙতে শুরু করে। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে

প্রাকৃতিক লবণে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ভিতর থেকে চামড়াকে সুন্দর করে। একইসঙ্গে ব্রন এবং ত্বকের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতেও দারুণ কাজে দেয়। প্রতিদিন লবণপানি পান করলে একজিমা, ড্রাই স্কাল্প এবং ফুসকুড়ির মতো রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আর/ডব্লিউএন