ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে সিলেট

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৪০ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৭ বুধবার

সিলেট প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি । সবুজ চা বাগান, পাহাড়, নদী - ঝর্ণা, টিলা আর দিগন্তজোড়া সবুজ বৃক্ষ, নীল আকাশের নিচে অপরুপ মায়াবি আভা সিলেটকে করেছে রুপের রাণী। এ সৌন্দর্য আর নতুন রঙের আলপনা যেকোনো ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে সিলেটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। হযরত শাহজালাল (র.)-এর পুণ্যভূমি, মরমী কবি হাছন রাজা, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম, আলী আমজাদের ঘড়ি আর কিন ব্রিজের স্মৃতিবিজড়িত সিলেট তো প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিয়ে ডাকবেই।

 অনুপম সৌন্দর্যে ভরপুর কোলাহলমুক্ত পরিবেশ, কোথাও সবুজ ক্ষেত, নিবিড় অরণ্য আবার কোথাও সুউচ্চ পর্বতমালা, দেখে আনমনা হয়ে গেয়ে উঠতে পারেন-

``এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না`কো তুমি

সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্ম ভূমি ``

জাফলং

সিলেটের জাফলং প্রকৃতি কন্যা  হিসেবে সারা দেশে এক নামে পরিচিত ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে। জাফলংয়ের আকর্ষণই যেন আলাদা। সিলেট ভ্রমণে এসে জাফলং না গেলে ভ্রমণই যেন অপূর্ণ থেকে যায়।

খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবহমান জলরাশি, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ নীলাভ বর্ণের পানি, উঁচু উঁচু পাহাড়, সবুজাভ প্রকৃতি আর  সুনসান নীরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদেরকে  দারুণভাবে মোহাবিষ্ট করেছে। পিয়াইন নদী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমানভাবে প্রবাহিত। এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকরা ছুটে আসেন জাফলং ।

প্রকৃতি কন্যা ছাড়াও জাফলং বিউটি স্পট, পিকনিক স্পট, সৌন্দর্যের রানি- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। সিলেট নগরী থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলংয়ের অবস্থান। জাফলংয়ে  শীত ও বর্ষা মৌসুমের সৌন্দর্যের রুপ ভিন্ন ভিন্ন। বর্ষায় জাফলংয়ের রূপ লাবণ্য যেন ভিন্ন মাত্রায় ফুটে ওঠে। ধূলি ধূসরিত পরিবেশ হয়ে উঠে স্বচ্ছ। স্নিগ্ধ পরিবেশে শ্বাস-প্রশ্বাসে থাকে ফুরফুরে ভাব। খাসিয়া পাহাড়ের সবুজাভ চূড়ায় তুলার মতো মেঘরাজির বিচরণ এবং যখন-তখন অঝোর ধারায় বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি পথ হয়ে উঠে বিপদ সংকুল। সেই সঙ্গে কয়েক হাজার ফুট ওপর থেকে নেমে আসা সফেদ ঝর্ণা ধারার দৃশ্য যেকোনো পর্যটকদের নয়ন জুড়াবে।

ইতিহাস পর্যালোচনা করে  জানা যায়, হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীন নির্জন বনভূমি। ১৯৫৪ সালে সিলেটে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটে। তারপরও বেশ কয়েক বছর জাফলংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পতিত পড়ে ছিল। ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে নৌপথে জাফলং আসতে শুরু করেন। পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকায় গড়ে ওঠে নতুন জনবসতি। আশির দশকে সিলেটের সঙ্গে জাফলংয়ের ৫৫ কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে জাফলংয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের কথা সারা দেশের মানুষের কাছে  ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতিপ্রেমী দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকরা ভিড় করতে থাকেন জাফলংয়ে। জাফলং এখন দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন স্পটগুলোর একটি ।

কীভাবে যাবেন জাফলং  

অবস্থান : জাফলং সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। সিলেট জেলা সদর থেকে সড়কপথে দূরত্ব মাত্র ৫৬ কিমি।

সিলেট থেকে আপনি বাস-মাইক্রোবাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে পারেন জাফলং। সময় লাগবে ১ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ভাড়া : বাস জনপ্রতি ৫৫ টাকা, মাইক্রোবাস ১৭০০-২০০০ টাকা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা : ৭০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন

জাফলংয়ে থাকার তেমন সুব্যবস্থা নেই। তবে যে কয়টি ব্যবস্থা আছে তার মধ্যে জেলা পরিষদের নলজুরী রেস্ট হাউস (থাকতে হলে আগে বুকিং দিতে হবে), শ্রীপুর পিকনিক স্পট উল্লেখযোগ্য। কিছু বোডিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  এছাড়া শ্রীপুর ফরেস্টের একটি বাংলো আছে পর্যটকদের থাকার জন্য।

লালাখাল    

স্বচ্ছ নীলাভ  জলরাশি আর দু’ধারের অপরূপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌপথ ভ্রমণের সাধ যে কোনো পর্যটকের কাছে এক দুর্লভ আকর্ষণ। তেমনি এক নির্জন মনকাড়া স্থান লালাখাল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের স্থান এটি। রাতের সৌন্দর্যে ভরপুর এ লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি নদীর স্বচ্ছ জলরাশির ওপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পিডবোটে করে আপনি ঘুরতে পারেন লালাখালে। যাওয়ার পথে আপনি দু’চোখ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন কিন্তু সৌন্দর্য শেষ হবে না। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌঁছে যাবেন  লালাখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরি ঘাটে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন নদীর স্বচ্ছ অপরুপ পানির দিকে। কি সুন্দর নীল, তলদেশ পর্যন্ত দেখা যায়। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এ নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত।

কীভাবে যাবেন : সিলেট শহর থেকে লালাখাল যাওয়ার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি. মি. রাস্তা। আপনি অনেকভাবে লালাখাল যেতে পারেন। বাস, মাইক্রোবাস, টেম্পোযোগে সহজেই যাওয়া যাবে।

থাকবেন কোথায়

লালাখালে থাকার তেমন কোনো সুবিধা নেই। সাধারণত পর্যটকরা সিলেট শহর থেকে এসে দিনশেষে আবার হোটেলে ফিরে যান। সাম্প্রতিক নাজিমগড় রিসোর্ট নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন  পিকনিক স্পট গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।

হযরত শাহজালাল (র.) মাজার

উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর হযরত শাহজালাল (র.) । তিনি ওলিকুল শিরোমণি হিসেবে খ্যাত। সিলেট অঞ্চলে তার মাধ্যমেই ইসলামের প্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বোরহান উদ্দিনের ওপর রাজা গৌর গোবিন্দের অত্যাচার  এর পরিপ্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল (র.) ও তার সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ কারণে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়।

আরবের মাটি ও সিলেটের মাটি 

লোকমুখে কথিত আছে, প্রাচ্যদেশে আসার  আগে  হযরত শাহজালাল (র.)-এর মামা মুর্শিদ সৈয়দ আহমদ কবীর (র.) তাকে এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেন, ‘স্বাদে-বর্ণে-গন্ধে এ মাটির মতো মাটি যেখানে পাবে সেখানে আস্তানা গেড়ে ইসলাম প্রচার করবে।’

হযরত  শাহজালাল (র.) এর ঘনিষ্ঠ শিষ্য শেখ আলীকে এ মাটির দায়িত্বে নিয়োগ করেন এবং নির্দেশ দেন যে, যাত্রাপথে বিভিন্ন জনপদের মাটির সাথে পরখের সঙ্গে যেন এ জনপদের মাটির মিল তিনি অনুসন্ধান করেন। পরে এ শিষ্যের উপাধি হয় চাষণী পীর। সিলেট শহরের গোয়াইপাড়ায় তার মাজার বিদ্যমান।

সিলেটের মাটির সঙ্গে আরবের মাটির মিল পাওয়ায় হযরত শাহজালাল (র.) সিলেটে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। সিলেটে তেল ও গ্যাস পাওয়ায় আরবের মাটি ও সিলেটের মাটির মিল প্রমাণিত হয়েছে। এই জন্য মূলত সিলেটকে পুণ্যভূমি বলা হয়।

মালনীছড়া  চা বাগান

সিলেটকে চায়ের দেশ বলা হয়ে থাকে। চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। সকালে  এক  কাপ গরম চা না পেলে বাঙালি সমাজের যেন একদমই  চলে না। বাংলাদেশের যে কয়টি অঞ্চলে চা বাগান পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। সিলেটের চায়ের রং, স্বাদ- গন্ধ অতুলনীয়। উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান সিলেট শহরে অবস্থিত। নাম মালনীছড়া। ১৮৪৯ সালে এ চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বেসরকারি উদ্যোগে এ চা বাগান পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৫০০ একর জায়গার ওপর এ চা বাগান অবস্থিত। চা বাগানের পাশাপাশি বর্তমানে এখানে কমলা ও রাবারের চাষ করা হয়।

মালনীছড়া চা বাগান ছাড়াও সিলেটে লাক্ষাতুড়া চা বাগান, আলী বাহার চা বাগান, খাদিম, আহমদ টি স্টেট, লালাখাল টি স্টেট উল্লেখযোগ্য।

অবস্থান

মালনীছড়া এবং লাক্ষাতুড়া চা বাগান দুইটিই সিলেট শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে গাড়িতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।

যা যা  দেখতে পাবেন :

পাহাড়ের গায়ে চা বাগানের দৃশ্য, ছায়া বৃক্ষ, চা শ্রমিকদের আবাসস্থল, কমলার বাগান, রাবার বাগান, চা তৈরির প্রক্রিয়া।

কীভাবে যাওয়া যায়

সিলেট শহর থেকে রিকশাযোগে অথবা  অটোরিকশা বা গাড়িতে বিমানবন্দর রোডে চা বাগানটি পাওয়া যাবে। গাড়িতে যেতে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ১০ মিনিটের পথ। রিকশাযোগে যেতে আধ ঘণ্টা সময় লাগবে।

জাকারিয়া  সিটি

মৌসুমে নান্দনিক রূপে ফোটে  উঠে পর্যটন খাত। এই সময়ে ভ্রমণকারীর সংখ্যাও বেড়েছে প্রচুর। সিলেট ভ্রমণে দুটি মাজারসহ মূলত টার্গেট থাকে জাফলং আর মাধবকুণ্ড দর্শনের। সিলেটে এসে যেখানে থাকবেন সেটিও যদি হয় দেখার মতো, সময় কাটানোর মতো- তেমনই চমৎকার প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সুযোগ করে দিয়েছে জাকারিয়া সিটি।

সিলেট শহর থেকে প্রায় ১১ কিমি দূরে জাফলং রোডে খাদিমনগরে ৩টি টিলার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এ সিটি। প্রায় ১৭ একরের উপরে এ হলিডে রিসোর্টে রয়েছে থ্রি স্টার মোটেল, শিশুপার্ক, অডিটোরিয়াম, মিনি চিড়িয়াখানা ইত্যাদি। প্যাকেজ ট্যুরে জাফলং, মাধবকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, ছাতক, হাওর ও মাজারে ভ্রমণের ব্যবস্থা আছে। দিনপ্রতি রুম ভাড়া বাবদ খরচ হবে ২,৮৫০ থেকে ১২,৬০০ টাকা। মাত্র ৫০ টাকা জনপ্রতি টিকিট কেটে আপনি পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন। আর শিশুরা সঙ্গে থাকলে তাদের আনন্দটা হবে সীমাহীন।

বিছানাকান্দি

সিলেটের আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে বিছানাকান্দি অন্যতম। প্রকৃতির আপন লীলায় মেতে আছে বিছনাকান্দি। অবসরে বেড়ানোর জন্য এটি অনন্য জায়গা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের জল পাথরের ভূমি বিছানাকান্দি! আকাশের সাথে মেঘেদের লুকোচুরির সৌন্দর্য এখানে অপূর্ব লীলায় ধরা দেয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখানে এমন যে, আকাশ লীলা দেখে পাখিরা বিলের মধ্যে লুটোপুটি করে। এখানে দৃষ্টির শেষ সীমানা পর্যন্ত রয়েছে শুধু পাথর আর পাহাড়।

হাদারপার বাজার থেকে হেঁটেও বিছানাকান্দি যাওয়া যায়, মাঝে ১০ টাকায় নৌকা পারাপার। গোয়াইন নদী থেকে সীমানার ওপারের পাহাড় থেকে ঝরে পড়ছে ৮-১০টি ঝরনা। এমন দৃশ্য দেখে আপনি অবাক হতে পারেন । আকাশে অনেক বেশি মেঘ থাকায়, ঝরনাগুলো ছিল অনেক প্রাণবন্ত। সবুজ পাহাড় বেয়ে ঝরেপড়া ঝরনাগুলো প্রকৃতিকে করে দেয় স্নিগ্ধ আর মনোরম।  

বিছনাকান্দির দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগে। বিছনাকান্দিতে নামার পরে সামনে চোখে পড়বে অসংখ্য পাথর, মনে হবে - এটি যেন পাথরের বিছানা। সাবধানতার সঙ্গে পাথরের উপর দিয়ে যাবেন, হাঁটতে হাঁটতে দেখবেন ভারতের সীমানা সামনে। মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনার শীতল পানিতে ভিজলে মনে হবে পৃথিবীর সব শান্তি যেন এখানে।

শীতল পানি আপনার  শরীর ও মনকে প্রশান্তি করে দিবে। প্রকৃতির নীরব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন অনেকটা সময় ধরে। নাগরিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সময় সুযোগে বেড়িয়ে আসতে পারেন পূণ্যভূমি সিলেটে।

কেআই/ডব্লিউএন