ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে নয় শিশুর মৃত্যুর কারণ হাম

প্রকাশিত : ০৬:৫৩ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৬:৫৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৭ সোমবার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মধ্যম সোনাইছড়ির ত্রিপুরাপাড়া নয় শিশুর মৃত্যুর কারণ হাম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মৃত ও হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে যে এসব শিশু হামের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত।

আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানান। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আবদুল কালাম আজাদ বলেন,  এখানকার শিশুদের কোনো দিন কোনো টিকা দেওয়া হয়নি। আর এই পাড়ার কোনো মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পায় না।  তবে সারা দেশে হাম ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

মৃত শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছিল বলে দাবি করেন মহাপরিচালক। তিনি জানান, ওই পাড়াতে ৮৫টি পরিবার আছে এবং ৩৮৮ জন বাসিন্দা আছেন। এদের কেউ হামের টিকা পাননি।

তবে, লিখিত বক্তব্যে মহাপরিচালক ঘটনার পর নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেন, ‘ত্রিপুরাপাড়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং তার অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চমৎকার দায়িত্ব পালন করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সানিয়া তাহমিনা, আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সাবরিনা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরিচর্যা) এ বি এম জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দীকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সীতাকুণ্ডের ঘটনার বিষয়ে আবদুল কালাম আজাদ বলেন,  দেশে হামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এটি (ত্রিপুরা পাড়া) একটি ছোট বিচ্ছিন্ন এলাকা এবং তারা কখনোই আধুনিক চিকিৎসা নেয়নি।

আধুনিক চিকিৎসা নিলে হয়ত এ প্রাণহানি ঠেকানো যেত বলে মনে করেন তিনি।

গত মাসের শেষ দিক থেকে বারআউলিয়ার সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ার শিশুদের মধ্যে জ্বর, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট ও  খিঁচুনির মত উপসর্গ দেখা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু অভিভাবকরা হাসপাতালে না যাওয়ায় চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারে গত বুধবার পর্যন্ত নয় শিশুর মৃত্যুর পর।

পরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরো ৪৬ জনকে।

‘অজ্ঞাত’ রোগে শিশুদের আক্রান্ত খবর পেয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)ওই এলাকায় যায়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে ‘শিশুরা দীর্ঘদিনের অপুষ্টির কারণে এক ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে’ বলে জানান আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

ডব্লিউএন