‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ডিসিরা চাইলেই পুলিশ পাবেন’
প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:১৮ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় চাওয়ামাত্র জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) পুলিশ পাবেন বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনায় এই প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। পরে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
আলোচনায় জেলা প্রশাসকেরা বলেছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় অনেক সময় পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া যায় না। এ আদালতের জন্য সব সময় যেন কমপক্ষে একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ সদস্যের দল প্রস্তুত রাখা হয়। মূলত এই প্রস্তাবের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিসিদের পুলিশ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ লাইনে সব সময় পুলিশ থাকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জন্য তারা (ডিসি) চাওয়া মাত্র পুলিশ পাবেন। শুধু পুলিশ নয়, আনসারেরও টিম ওখানে থাকবে। পুলিশ, আনসার যখন যাকে চাইবে জেলা প্রশাসক কিংবা তার প্রতিনিধি তাকে পাবেন।
ডিসিরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ১৪টি প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফাঁড়ি, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্প পুলিশ- এগুলো আরও বৃদ্ধি, ফায়ার সার্ভিসের আরও কয়েকটি স্টেশন নতুন করে দেয়া ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন তারা। জেলখানাগুলোর আধুনিকীকরণের প্রস্তাব ছিল, প্রস্তাব ছিল মাদক নিরাময় কেন্দ্র করা, মাদক ব্যবসায়ী, যারা আত্মসমর্পণ করছেন তাদের পুনর্বাসন করা যায় কি না- এসব বিষয়ে প্রস্তাব ছিল। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত দিয়ে এসেছি।
জেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসকদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা কোনো প্রশ্ন তোলেননি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশে এখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ভালো কাজ করছে, আমাদের গোয়েন্দারা ভালো কাজ করছে। আমরা তাদের কাছে আহ্বান করেছি সবাই মিলে কাজ করবেন। যখনই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মেসেজ দেয়া কিংবা তাদের প্রয়োজন মনে করবেন তাদের সঙ্গে বসে মিটিং করে কাজ করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সঙ্গে এ কার্য-অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া তৃতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি বলেছি জিপি (গভর্নমেন্ট প্রসিকিউটর), পিপির (পাবলিক প্রসিকিউটর) ব্যাপারে সরকারের একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা হচ্ছে যে, স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস হবে এবং স্বাধীন সার্ভিসটা শতভাগ একদিনে হয়ে যাবে তা না। আমরা পর্যায়ক্রমে স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিসটা করব।
ডব্লিউএন