ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

রবি’র হাতে একীভূত কোম্পানির লাইসেন্স তুলে দিল বিটিআরসি

প্রকাশিত : ০৫:৪০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৪:২৬ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের হাতে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূত কোম্পানির লাইসেন্স তুলে দেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদের হাতে এ লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

উচ্চ আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি) ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড (এয়ারটেল) একীভূত কোম্পানি রবি হিসেবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। রবি’র একটি স্বাধীন ব্র্যান্ড হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এয়ারটেল।    

অনুষ্ঠানে তারানা হালিম বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় একীভূতকণের ঘটনাটি টেলিযোগাযোগ খাতে হয়েছে বলে আমরা আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, একীভূত কোম্পানি রবি আরো বিনিয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তায়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, একীভূতকরণের ক্ষেত্রে গ্রাহক ও অপারেটর উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছি বলে আমরা আনন্দিত এবং এর ফলে বাজারে একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় একীভূতকরণ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য রবি পরিবারকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস করি, একীভূতকরণের ফলে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে যা মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করবে।  

লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পর রবি’র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, রবি’র লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়া। এয়ারটেলের সাথে সফলভাবে একীভূত হওয়ার পর আমাদের সে প্রত্যয় আরো দৃঢ় হয়েছে। গ্রাহককেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের নেটওয়ার্কের আওতায় একই সাথে রবি ও এয়ারটেল উভয় গ্রাহকদের সেবা দেয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রথম এবং দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম একীভূতকরণের সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সেক্রেটারি-ইন-চার্জ, এডিশনাল সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম এবং বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)সহ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আর/ডব্লিউএন