ঢাকা, রবিবার   ০৩ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ১৯ ১৪৩২

পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের নামের তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০৩ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার

মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২৬১ জন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তার নামের তালিকা প্রকাশ করেছে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন। সংবাদ সম্মেলনে অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব উদ্দিন আহমদ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানসহ পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের তালিকা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা একটি তদন্ত সেল গঠন করেছিলাম। সেলের প্রধান ছিলেন মাহবুব উদ্দিন আহমদ। এছাড়া সদস্য হিসেবে ছিলেন ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন ও হাবিবুল আলম। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ২১ দফা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে তিনটি দফা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবো। পরবর্তী পদক্ষেপে যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব বাতিল, তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিল, সম্পদ বাজেয়াপ্ত, প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলসহ সব দাবি আদায়ে কাজ করে যাবো।

এছাড়া পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ পাকিস্তান যেন তাদের অপরাধ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চায় সে লক্ষ্যে বিশ্বে জনমত তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাহবুব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা ২৬১ জনের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এদের মধ্যে ৪৩ জন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দু’জন বেসমারিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও আছেন। পাকিস্তানি সরকার কর্তৃক গঠিত হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনেই তাদের বিরুদ্ধে অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া পাকিস্তানি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের লিখিত পুস্তকে এই চিহ্নিত সামরিকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অনেক সাক্ষ্য বিধৃত রয়েছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের যুগ্ম ও সংসদ সদস্য আহ্বায়ক শিরিন আকতার, মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বীর বিক্রম প্রমুখ।

তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য নাম :

জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান, জেনারেল আব্দুল হামিদ খান, লে. জেনারেল পীরজাদা, লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি, লে. জে টিক্কা খান, লে. জেনারেল গুল হাসান খান, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, মেজর জেনারেল আবু বকর ওসমান আলী, মেজর জেনারেল খুদাদাদ খান, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা, আবদুল রহিম খান, মেজর জেনারেল নজর হুসেইন শাহ, মেজর জেনারেল শওকত রেজা, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হুসেইন আনসারি, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জামশেদ, মেজর জেনারেল, কাজী আবদুল মজিদ খান, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আকবর, মেজর জেনারেল ইফতিখার জানজুয়া, মেজর জেনারেল গোলাম উমর, ব্রিগেডিয়ার গোলাম জিরলানি খান, ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবাব, ব্রিগেডিয়ার রহীম আহমদ, ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ সফি, ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফি, ব্রিগেডিয়ার আবদুল কাদির খান, ব্রিগেডিয়ার আরিফ রাজা, ব্রিগেডিয়ার আতা মুহাম্মদ খান মালিক, ব্রিগেডিয়ার বশির আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার ফাহিম আহমেদ খান, ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার আহমেদ রানা, ব্রিগেডিয়ার মনজুর আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার শেখ মঞ্জুর হোসাইন আতিক, ব্রিগেডিয়ার মিয়া মনসুর মুহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার মিয়া তাসকিন উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার মীর আবদুল নাইম, ব্রিগেডিয়ার মুহম্মাদ আসলাম নিয়াজি, ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ হায়াত এস জে, ব্রিগেডিয়ার এন এ আশরাফ, ব্রিগেডিয়ার এস এ আনসারি, ব্রিগেডিয়ার সাদুল্লাহ খান এস জে, ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ আসগর হাসান, ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ শাহ আবদুল কাসিম, ব্রিগেডিয়ার তাজমাল হুসেইন মালিক, ব্রিগেডিয়ার জি এম বাকির সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ মালিক, ব্রিগেডিয়ার শেরুল্লাহ বেগ, ব্রিগেডিয়ার হেসকি বেগ ও ব্রিগেডিয়ার গোলাম মোহাম্মদ প্রমুখ।