ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১১ ১৪৩২

ফাহিম আটক, হুমকি দেয়া হচ্ছে পরিবারকে

প্রকাশিত : ০৫:৫২ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৩:২৭ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

রাজধানীর মিরপুরে চাচাতো বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেরা পা ভেঙ্গে দেয় এক যুবকের। শুক্রবার রাতেই এ ঘটনায় মামলা করা হয়। পুলিশ মামলার মূল আসামি ফাহিমকে রাতেই রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে আহত ওই যুবকের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, বখাটেরা শনিবার তাদের হুমকি দিয়েছে। এমনকি হাসপাতালে গিয়েও তারা আহত যুবকের স্বজনদের হুমকি দেয়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ফাহিম কক্সবাজারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ফাহিমের সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় ফাহিম ও তার চার-পাঁচজন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শনিবার সকালে আহত ওই যুবকের মাকে দুই-তিনজন যুবক হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ছেলেটির মা বলেন, সকালে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) আহত ছেলেকে দেখতে যাচ্ছিলেন। শেওড়াপাড়ার বৌবাজারের কাছে পৌঁছালে দুই-তিনজন যুবক ওই যানটির গতিরোধ করে। ওই যুবকেরা তাকে যানবাহন থেকে বের করে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মামলা করেছেন কি না, তা জানতে চায় তারা। তারপর ‘মামলা করলে পরিণতি খুব খারাপ হবে। এবার তো পা ভেঙেছি। পরে আরও বড় কিছু করব’-এসব বলে হুমকি দেয়।

বেলা ১২টার দিকে আহত যুবকের স্বজনেরা জানান, ফাহিমের সহযোগীরা পঙ্গু হাসপাতালে ওয়ার্ডে গিয়ে ফাহিমসহ স্বজনদের হুমকিধামকি দিয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালটি আগারগাঁও থানার অধীনে। আপনি আগারগাঁও থানায় ফোন করেন।

নির্যাতনের শিকার ওই যুবক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। তার চাচাতো বোন মেডিকেলের শিক্ষার্থী। ওই যুবকের বাসা পশ্চিম শেওড়াপাড়ায়। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত যুবকের মা বলেন, শুক্রবার তার বাসায় পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। সে জন্য তার দেবরের মেয়ে দুপুরে বাসে করে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণিতে নামেন। তার ছেলে বোনকে আনতে শামীম সরণিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই দুটি ছেলে মেয়েটির উদ্দেশে অশালীন কথা বলে, উত্ত্যক্ত করে। তার ছেলে বিষয়টি জানতে পেরে এর প্রতিবাদ করেন। এর জের ধরে পরে ওই ছেলেরা তাকে রড দিয়ে পেটায়।

আরকে/ডব্লিউএন