ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অল্প খরচে কিডনি ডায়ালাইসিস

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৩:৪২ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

কিডনি বিকল হলে ডায়ালাইসিস (কৃত্রিম উপায়ে রক্ত পরিশোধন) করে রোগীকে সুস্থ্য করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রাজধানীর অধিকাংশ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস-এর খরচ হাতের নাগালের বাইরে। অনেক রোগীর স্বজনই ডায়ালাইসিস আর টাকা দুটো নিয়েই চিন্তিত থাকেন। তবে কম খরচে ডায়ালাইসিসের সুখবর দিচ্ছে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতাল।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করানো যায়। পাশাপাশি এখানে দুস্থ্য রোগীদের জন্য ফ্রি ডায়ালাইসিসের সুবিধাও আছে। প্রয়োজনে ওষুধও ফ্রি দেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে শয্যা আছে ১০০টি। প্রতিবার (এক পালায়) ৯০ জন রোগীর জন্য সূচি (শিডিউল) দেওয়া থাকে। প্রতিবার পাঁচজন রোগী বিনা মূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা পান। ডায়ালাইসিস করতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। এ বছরের ১৩ মে এই ডায়ালাইসিস কেন্দ্র চালু করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এখন দেশে এটি সবচেয়ে বড় ডায়ালাইসিস কেন্দ্র। প্রতিদিন তিন পালায় ২৩০ থেকে ২৪০ জন রোগী এখানে ডায়ালাইসিস করাতে পারে। এ পর্যন্ত ৬০০-এর বেশি রোগী নিবন্ধন করেছেন। অধিকাংশ রোগীকে সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়।

রোগীকে ডায়ালাইসিসের জন্য নিবন্ধন করার আগে তার আর্থিক অবস্থার মূল্যায়ন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হয় না। দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে প্রতি সেশনের জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা, মধ্যবিত্তের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। আর উচ্চবিত্ত বা ধনী রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৩ হাজার করে। চালু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রে আসা রোগীর মধ্যে দরিদ্র রোগীর সংখ্যা ১০০ জনও হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। তাদের মধ্যে কিডনি বিকল হয়েছে এমন রোগী আট লাখ। তাদের কিডনি ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন দরকার। তবে এখন সব মিলিয়ে ডায়ালাইসিসের সুযোগ পাচ্ছেন মাত্র ১৮ হাজার রোগী। দেশে সরকারি ও বেসরকারি ১০১ একটি কেন্দ্রে ডায়ালাইসিস করা হয়। তবে এই বিপুল রোগীর জন্য দরকার কমপক্ষে এক হাজার কেন্দ্র।

এসব কেন্দ্রের মধ্যে জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি হাসপাতালের ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে রোগীর খরচ সবচেয়ে কম। এই দুটি কেন্দ্র চলে ভারতের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে। প্রতিবার ডায়ালাইসিসের জন্য রোগীকে ৪০০ টাকা দিতে হয়, আর সরকার ভর্তুকি দেয় ১ হাজার ৭০০ টাকা। বেসরকারি সব কেন্দ্রে ব্যয় গড়ে দুই হাজার টাকার বেশি।

আর/ডব্লিউএন