ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

গুজরাটের বিস্ময় বালক

এক বছরেই ইঞ্জিনিয়ার

প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ১২ আগস্ট ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১২:৫২ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৭ সোমবার

নির্ভয় ঠাক্কার। জন্ম ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে। বয়স ১৫। এই বিস্ময় বালক এক বছর দেড় মাসেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। গুজরাট প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জিটিইউ) থেকে তড়িৎকৌশলে এই ডিগ্রি অর্জন করেছে। সে ওই কলেজের সর্বকনিষ্ট স্নাতক। খবর এনডিটিভির।


জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই পরীক্ষায় পাশ ফেলের তোয়াক্কা করতেন না ভয়ডরহীন নির্ভয়। তার মন পড়ে থাকত ফুটবল মাঠে, দাবার ঘুঁটিতে কিংবা সাঁতার কাটাতে। এমনকি সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন তার গায়ে লেগে যায় খারাপ ছাত্রের তকমা। লেখাপড়ায় ছেলের এ করুণ হাল দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন নির্ভয়ের প্রকৌশলী বাবা ধবল ঠাক্কার। যে করেই হোক ছেলেকে লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনতে হবে- এ চিন্তায় চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।


নিজেই ছেলেকে শিক্ষাদান শুরু করেন। গতানুগতিক তত্ত্বীয় শিক্ষা পদ্ধতি এড়িয়ে তিনি নির্ভয়কে দেখা, শোনা ও প্রায়োগিক এ তিন পদ্ধতির সমন্বয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে শিক্ষা দেন। এতেই পাল্টে যায় নির্ভয়ের জীবন। এরপর শুধুই সাফল্যের গল্প। ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এক্সামিনেশন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে মাত্র ছয় মাসে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর পাঠ শেষ করে সে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ শেষ করে আরও কম সময়ে। মাত্র তিন মাসে।

তবে বিপত্তি বাধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়। গুজরাট প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জিটিইউ) কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে হাল ছাড়েননি নির্ভয়ের বাবা-মা। তারা সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা কমিশনে আবেদন করেন। তাদের আবেদনকে আমলে নিয়ে জিটিইউ কর্তৃপক্ষ নির্ভয়কে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে এসএএল প্রকৌশল কলেজে ভর্তি করে নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলোতেও সফলতার পরিচয় দেয় নির্ভয়।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাত্র আটান্ন সপ্তাহ (এক বছর দেড় মাস) সময় নিয়ে সে তার স্নাতক কোর্স শেষ করে এবং জিটিইউ’র ইতিহাসে সে এখন সর্বকনিষ্ঠ স্নাতক ডিগ্রিধারী। নির্ভয়ের এ সফলতা সম্পর্কে প্রকৌশল কলেজের প্রিন্সিপাল ড. রুপেশ ভাসানী বলেন, ‘নির্ভয় এখানে বিশেষভাবে প্রস্তুত ক্রেডিট সিস্টেম কারিকুলামে তার কোর্স শেষ করেছে। সে দিনে নয় ঘণ্টা কলেজে কাটাত ও সফলতার সঙ্গে তার কোর্স শেষ করে।’ স্নাতক শেষ করে এখন উচ্চতর শিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে পনেরো বছর বয়সী এ বিস্ময় বালক। তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে কম খরচে ও অল্প বাতাস কাজে লাগিয়ে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন।
//এআর