ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ০৪:০৭ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৫:৫৫ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার

অনেকে অকালেই বুড়িয়ে গেলেও হৃদয়টা থাকে তরুণ। তাই তাদের কেউ কেউ শারীরিক তারুণ্য ধরে রাখতে চান। এই শারীরিক তারুণ্য ধরে রাখতেই আপনাকে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ।

এই খাবারগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায় আপনার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ফলে আপনার বয়স বাড়লেও বুড়িয়ে যাওয়ার অনুভূতি বেশি হবে না। এমন কিছু খাবারের তালিকা দেয়া হলো যেগুলো নিয়মিত খেলে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব।

গ্রিন টি: গ্রিন টিতে আছে শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড। এটি হাঁটুর জন্য খুবই উপকারী এবং যে কোনো ক্ষয় রোধ করে। এছাড়া গ্রিন টির রয়েছে বিস্তর বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধী উপকারিতা।

আঙ্গুর: এতে আছে রেজভেরাট্রোল। বিশেষত লাল আঙ্গুরে এই উপাদানটি বেশি থাকে। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আঙ্গুরে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

ডার্ক চকোলেট: এতে থাকা কোকোয়া বলিরেখা ও ডার্ক সার্কেল থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে।

আখরোট: চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী আখরোট। এতে আছে কপার যা চুলকে আরো স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী করে। এতে আরো আছে ভিটামিন ই।

আনারস: আনারসে ব্রোমালেইন এর মতো এনজাইমে সমৃদ্ধ। যা আপনার ত্বকের যত্নে বেশ উপকারী। এটি ব্রণ দূর করে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

টমোটো: টমেটোতে থাকা ক্যারোটিনয়েড ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি এটি আপনার ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে।

অ্যাভোকাডো: ত্বককে কোমল ও নমনীয় করে অ্যাভোকাডো। এতে থাকা ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।

ওট বা জই: ওট বা জই-এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিকেলস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়া ত্বকে বলিরেখা পড়াও ঠেকায় ওট।

তরমুজ: তরমুজে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে বলিরেখা পড়া ঠেকায়।

গাজর: গাজর দেহের জন্য খুবই উপকারি। এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট দেহে ফ্রি র‌্যাডিকেলস এর মাধ্যমে ক্ষয় হওয়া প্রতিরোধ করে।

ব্লুবেরি: ব্লুবেরি ভিটামিন সি এবং ই-তে ভরপুর। বেরির মধ্যে এটিই বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

লাল বাধাকপি: নিয়মিত লাল বাধাকপি খেলে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

কিউই: কিউই হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং স্বাস্থ্যকর গাড় গড়ে তোলে। এছাড়া দেহে ফ্রি র‌্যাডিকেল নিষ্ক্রিয় করতে ভুমিকা রাখে।

মৌরি: আঁশসমৃদ্ধ এই খাদ্যটি দেহকে বিষমুক্ত করতে এবং হজমে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

লেবু এবং গরম পানি: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানি এবং লেবুর রস খেলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এবং ত্বকের ঔজ্বল্য বাড়ে।

শিম: পটাশিয়াম এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ এই শিম হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে থাকা পলিফেনলস এবং ভিটামিন ই দুটোই বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

নারকেলের পানি : নারকেলের পানিকে বলা হয় বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধের সেরা পানীয়। এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান ত্বককে সজীব রাখে।

স্ট্রবেরি : ভিটামিন সি-তে ভরপুর এটি। যা দেহে কোলোজেনের উৎপাদন বাড়ায়। আর এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আপনার দেহ মনকে চনমনে করে তারুণ্যে অনুভূতি এনে দিবে।

আপেল: ভিটামিন সি-র সমৃদ্ধ ফল আপেল। যা ত্বকের কোষগুলোর জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাবে এবং তারুণ্য বোধ করবেন।

শ্বেতবীজ বা শণবীজ: শণবীজে থাকা লিগনাস কোলোস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে রাখতে বেশ সহায়ক।

দারুচিনি: এটি কোলোজেনের উৎপাদন বাড়ায় যা আবার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।

আদা: জিনজারোল সমৃদ্ধ আদার প্রদাহরোধী কার্যকারিতা বিশাল।

ব্রোকোলি: এটি ডায়াবেটিস ও স্থুলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। কারণ এটি দেহে মাইটোকন্ড্রিয়াল ম্যালফাঙ্কশন প্রতিরোধ করে।

মাছ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

আর/ডব্লিউএন