ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গাছও পরস্পরের দূরত্ব রেখে চলে!

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৫০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৭ শনিবার

লজ্জা, সংকোচবোধসহ নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে  মানুষ অন্যের স্পর্শ এড়িয়ে চলে। আবার খাদ্য আধিপত্য বজায় রাখাসহ নানা কারণে অন্য প্রাণিদের মধ্যেও নিজের সীমানা নির্ধারণের প্রবণতা দেখা যায়। তবে সম্প্রতি গাছের উপর করা এক গবেষণার ফল দেখে বিস্মিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, কোনো রহস্যময় প্রাকৃতিক কারণে গাছেদের কিছু প্রজাতি পারস্পরিক স্পর্শ এড়িয়ে চলে। নিজেদের ডালপালা অন্য গাছের কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখে তারা।

এ নিয়ে গবেষকরা বলছেন, নিজেকে যতটা সম্ভব অন্যের কাছ থেকে আলাদা করে নেওয়ার এই প্রবণতাকে বলে `ক্রাউন সাইনেস`। ১৯২০ সালে প্রথম একটি বৈজ্ঞানিক লেখায় এর উল্লেখ করা হয়। গাছেদের মধ্যে এই প্রবণতা আছে কি-না এ নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। কিন্তু কেউ নিশ্চিতভাবে এর কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা এ বিষয়টির উপর আবার আলো ফেলেছে।

এর পক্ষে নতুন করে বড় গাছের বনাঞ্চলের বেশ কিছু চমৎকার ছবি উপস্থাপন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিগুলোতে দেখা যায়, কিছু বড় গাছের প্রজাতি ভূমি থেকে শুরু করে একেবারে মগ ডাল পর্যন্ত পরস্পরের স্পর্শ এড়িয়ে চলছে। নিচ থেকে দাঁড়িয়ে এসব গাছের শামিয়ানার দিকে তাকালে তাদের ভাগ স্পষ্ট বোঝা যায়। মনে হয় যেন আঁকাবাঁকা নদী বা মাটির ফাটল।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলীয় ফরেস্টার এম আর জ্যাকব ১৯৫৫ সালে তার লেখা `গ্রোথ হ্যাবিটস অব ইউক্যালিপটাস` বইয়ে উল্লেখ করেন, অনেক গাছই পারস্পরিক ঘর্ষণের প্রতি স্পর্শকাতর। এই কারণেই আকাশে তাদের ডালপালার শামিয়ানায় স্পষ্ট ভাগ দেখা যায়। ১৯৮৬ সালে তার এই তত্ত্ব সমর্থন করেন আরেক খ্যাতিমান উদ্ভিদবিজ্ঞানী ড. মিগুয়েল ফ্রাঙ্কো।

তবে আরেকটি তত্ত্ব বলছে, মূলত এক গাছ থেকে আরেক গাছে পাতাখেকো পোকামাকড় যেন ছড়াতে না পারে সেজন্যই কিছু গাছের মধ্যে ক্রাউন সাইনেস দেখা যায়। সূত্র : খবর মেইল অনলাইন ও অডিটি সেন্ট্রালের।

কেআই/ডব্লিউএন