ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হাদিসের আলোকে হজ্জের ফযিলত

প্রকাশিত : ০৭:১৬ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:০০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৭ বুধবার

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হলো হজ্জ। হজ্জ ও উমরা পালনে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য অনেক প্রতিদান রয়েছে। এ বিষয়ে কিছু হাদীস উল্লেখ করা হলো-

হজ্জের বিনিময় হবে বেহেশত : জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এ ঘর (কাবা) ইসলামের স্তম্ভস্বরূপ। সুতরাং যে ব্যক্তি হজ্জ কিংবা উমরা পালনের জন্য এ ঘরের উদ্দেশে বের হবে সে আল্লাহর যিম্মাদারীতে থাকবে। এ পথে তার মৃত্যু হলে আল্লাহ তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন। আর বাড়িতে ফিরে আসার তাওফিক দিলে তাকে প্রতিদান ও গণিমত দিয়ে প্রত্যাবর্তন করাবেন।

অন্য আরো একটি হাদিসে এসেছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক উমরা থেকে অপর উমরা পালন করার মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে হয়ে যাওয়া পাপরাশি এমনিতেই মাফ হয়ে যায়। আর মাবরূর হজ্জের বিনিময় নিশ্চিত জান্নাত। (বুখারী)

হজ্জ পালন উত্তম ইবাদাত : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হয়, সর্বোত্তম আমল কোনটি? জবাবে নবী (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। অত:পর জিজ্ঞেস করা হলো তারপর কোন আমল? তিনি উত্তর দিলেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা। আবার জিজ্ঞাস করা হলো এরপর কোন আমল? জবাবে তিনি বললেন, ‘মাবরূর হজ্জ’ (কবুল হজ্জ) (বুখারী ও মুসলিম)

হাজীগণ আল্লাহর মেহমান : ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং হজ্জ ও উমরা পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান। আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা সে আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। তারা আল্লাহর কাছে যা চাইছে আল্লাহ তাই তাদের দিয়ে দিচ্ছেন। (ইবনে মাজাহ )

অন্য হাদীসে আছে, হজ্জ ও উমরা পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান। তারা দোয়া করলে তা কবুল হয়ে যায় এবং গুনাহ মাফ চাইলে তা মাফ করে দেয়া হয়। (ইবনে মাজাহ)

হজ্জ গুনাহমুক্ত করে দেয় : আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহকে খুশী করার জন্য হজ্জ করল এবং হজ্জকালে যৌন সম্ভোগ ও কোনো প্রকার পাপাচারে লিপ্ত হল না সে যেন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হবার দিনের মতই নিষ্পাপ হয়ে বাড়ি ফিরল। (বুখারী)।

অন্য আরো একটি হাদিসে এসেছে, আমর ইবনুল আসকে নবী (সা.) বলেছিলেন, তুমি কি জান না ইসলাম গ্রহণ করলে পূর্বের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। তদ্রুপ হিজরতকারীর আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং হজ্জ পালনকারীও পূর্বের গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায়। (মুসলিম)

আর/ডব্লিউএন