ঈদের ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৭ শনিবার

ঈদুল আযহার ছুটি বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে সরকার। ছুটি বাড়ানোর নথি চালাচালি হচ্ছে কেবল, সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবসংবলিত নথি এখন আছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ঈদুল আযহার ছুটি বাড়িয়ে ছয় দিন করার জন্য গত ২৫ জুলাই প্রস্তাব দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চারটি সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে ঈদের ছুটি বাড়ানোর ওই প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়।
এ ক্ষেত্রে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় গণপরিবহনের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপকে। দীর্ঘ যানজটের কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ কমানোর জন্য ঈদের ছুটি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় আরো মনে করে, ঈদের আগে ও পরে সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব প্রাণহানি হয় তা লাঘব করা এবং ঈদের পরে অফিস খোলা হলেও কর্মচারীদের অনুপস্থিতি রোধ করার জন্য ঈদের ছুটি বাড়ানো প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো ছুটির প্রস্তাবেও ওই চারটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইনোভেশন টিম নৈমিত্তিক ছুটি ২০ দিন থেকে কমিয়ে ১৪ দিন নির্ধারণ করে বাকি ছয় দিন দুই ঈদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা এবং ঈদের ছুটির সঙ্গে ঐচ্ছিক ছুটি বাতিল করার প্রস্তাব দেয়।
অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের সরকারি ছুটির সঙ্গে দুই দিন করে চার দিন ঐচ্ছিক ছুটির প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এমন প্রস্তাব দেওয়ার পরও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছুটির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে সরকার।
সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, সরকারের নীতিনির্ধারকরা ঈদের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এ জন্যই ২৫ জুলাই এসংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও তা নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। রেলওয়ে অগ্রিম টিকিট ছাড়ার সিডিউল ঘোষণা করেছে। এখনই ছুটির সিদ্ধান্ত জরুরি। কারণ পরে ছুটি ঘোষণা করা হলে তা কর্মচারীদের খুব একটা কাজে আসবে না।
তিনি জানান, ঈদের ছুটি বাড়াতে হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মন্ত্রিসভায়। কারণ বছরের ছুটি অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। সেখানে পরিবর্তন আনতে হলে বিষয়টি মন্ত্রিসভায় নিতে হবে।
//এআর