ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৯ ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টায় ১০ আসামির ফাঁসি

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৭:৪১ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৭ রবিবার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় দেন।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলান শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।  


বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ১৫(১) এবিসি/২৫ (ডি) এর ধারায় প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।


এছাড়া, মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।


খন্দকার কামাল উদ্দিন সাকের, আরিফ হাসান সুমন, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. শাহনেয়াজ, মো. লোকমান, মো.  এনামুল হক, মো. মিজানুর রহমান, মো. মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান, মো. মাহমুদ আজহার, মো. আবুল হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। কোটালীপাড়া হত্যাচেস্টা মামলার মোট আসামি ২৪ জন।


মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে।


তার এক দিন পর নিজের নির্বাচনী এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।


ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।


তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি ইতিমধ্যে কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
//এআর