ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

খালাফ হত্যায় আপিল বিভাগের রায় ১০ অক্টোবর

প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৭ রবিবার

ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় আগামী ১০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত

এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. আবদুল ওহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায়ের এই দিন ধার্য করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষে রোববার আসামিপক্ষ শুনানি করে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অপর দিকে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড খবির উদ্দিন ভূঁইয়া। পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হেলালউদ্দিন মোল্লা।

উল্লেখ্য, ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। বাকি তিনজনের সাজা কমিয়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টের রায়েও বহাল থাকে। মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের সাজা কমে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর পলাতক সেলিম চৌধুরী খালাস পান। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আর সাড়ে চার মাস পর চারজনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের পরিচয় দেয়া হয় ‘ছিনতাইকারী’ হিসাবে।

আসামি আল আমীন নিম্ন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাইফুলসহ বাকি চারজন ওই রাতে খালাফকে ঘিরে ধরেন এবং তার কাছে ডলার চান। ডলার না দেয়ায় তাদের মধ্যে ধস্তাধাস্তি হয়। পরে সাইফুল তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে খালাফকে গুলি করে পালিয়ে যান।

 

আর/টিকে