ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, আইন সচিবের দায়িত্ব পালনে বাধা কাটল

প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:২২ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের নিয়োগ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এতে করে তাঁর দায়িত্ব পালনে আর বাধা রইল না। মঙ্গলবার দুপুরে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।


অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় আইন সচিব জহিরুল হকের দায়িত্ব পালনে আপাতত কোনো বাধা নেই।


এর আগে আজ সকালে আইন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পান। ৭ আগস্ট অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও এর আগের দিন তাঁকে একই পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। সেই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ-উজ জামান।


রিটের শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সংবিধানের ১১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ লাগে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়া হয়নি।


এছাড়া নিয়মানুযায়ী আইন সচিব পদে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বাইরের কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া যায় না। অথচ আইন সচিব এখন জুডিশিয়াল সার্ভিসে নেই। এমনকি আপিল বিভাগের এক রায়েও বলা হয়েছে, এ পদে চুক্তিভিক্তি নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই।


পাবলিক সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্টের ৫(৩) ধারা থেকে উদ্ধৃত করে মাহবুবে আলম বলেন, অন্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রপতি জনস্বার্থে যেকোনো ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারেন। যেহেতু এ কে এম জহিরুল হক বিচার বিভাগীয় একজন কর্মকর্তা, তাই তাঁকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া আইনবহির্ভূত হয়নি। তা ছাড়া এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করার বিধানও আইনে নেই। সুতরাং এ নিয়োগকে অবৈধ বলা যাবে না।


পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ৮ আগস্ট আদালত আইন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তাঁর যোগদানপত্র গ্রহণের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
//এআর