ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩২

আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা স্বর্ণ কেন ফেরত নয়

প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:০৬ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার

আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা স্বর্ণ কেন ফেরত দেয়া হবে না তা জানতে মঙ্গলবার রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। পাশাপাশি শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের তলবি নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি এম ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ এবং সাত হাজার ৩৬৯ পিস হীরার অলংকার। যা গত ৫ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এসবের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২১৯ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের ৫টি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৭ হাজার ৩৬৯ পিস হীরার অলংকার সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়। এসব অলংকার মজুদের বিষয়ে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারায় তা চোরাচালান হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

ফলে আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা স্বর্ণালংকার ও হীরার অলংকার আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। স্বর্ণ জব্দ ও বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ, র‌্যাব, ভ্যাট কমিশনার, কাস্টম হাউসের প্রতিনিধিরা।

গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়, এমন অভিযোগ এনে বনানী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণী। মামলায় অভিযুক্ত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ওই ঘটনার পর আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। শুল্ক গোয়েন্দারা গত ১৪ ও ১৫ মে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৯ গ্রাম হীরা ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে জব্দ করে। এগুলো পরে আইনিভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়।

আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার সুযোগ দিলেও জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।

আর/ডব্লিউএন