ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রাজধানীতে ঈদ ঘিরে জমজমাট মৌসুমী ব্যবসা

প্রকাশিত : ০৯:২৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:২৯ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার

পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে জমে উঠছে কোরবানি সংশ্লিষ্ট মৌসুমি ব্যবসা। নির্দিষ্ট ব্যবসা ছেড়ে কিছু বাড়তি আয়ের লক্ষে পশুর হাটসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র পরিসরে বাজার বসিয়েছেন অনেকেই। সাজিয়ে রেখেছেন, পশুর খাবার ঘাস, শুকনো খড়, ভুসি, কাঁঠালপাতাসহ আনুষঙ্গিক নানা উপকরণ। এতে যেমন উপকৃত হচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তেমনি বিপদে পড়তে হচ্ছে না কোরবানি পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

রাজধানীর বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা গেছে, হাটের পাশেই পশুর খাবার ঘাস, শুকনো খড়, ভুসি, কাঁঠালপাতা, পাটি, জরিসহ আনুষঙ্গিক নানা উপকরণ সাজিয়ে বসেছেন এ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ হাটের মধ্যে ফেরি করে এসব উপকরণ বিক্রি করছে।

রাজধানীর আফতাব নগরে পশুর হাটে নাসির নামের এক বিক্রেতা জরি, রশির পসরা সাজিয়েছেন। তিনি এর আগে স্কুল-কলেজের সামনে ছোলা-মুড়ির ব্যবসা করতেন। তিনি জানান, এখন স্কুল কলেজ বন্ধ তাই কিছু বাড়তি আয়ের জন্য প্রতিবছরই এখানে আসেন। কেমন দাম জানতে চাইলে তিনি ইটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রতি ১০ হাত রশির গোছা ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর জরি বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ২০ থেকে ২৫ টাকা করে। রঙিন মালা প্রতিপিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর পাটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৫০ টাকা।

এ বাজারের পশু কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা ইটিভি অনলাইনকে জানান, গরুকে বেঁধে রাখার জন্য নতুন দড়ি কেনা হয়েছে। এছাড়া মালা কিনেছি গরুর গলায় পরিয়ে দেয়ার জন্য। এতে গরুকে দেখতে ভালো লাগে।

গরুর হাটসহ বিভিন্ন স্থানেই বসেছে গরুর অস্থায়ী খাবারের বাজার। গরু কিনেই আগে খাবারের সন্ধানে এসেছেন। কিনেছেন ঘাস ও ভুসি। তিনি জানান, এবার অনেকটা আগেভাগেই গরু কেনা হয়েছে। তাই খাবারও কিনতে হচ্ছে।

শামীম নামের এক বিক্রেতা জানান, অবসর সময়কে কাজে লাগাতে এসব মৌসুমি ব্যবসা শুরু করেছি। ঈদের আগে বাড়তি আয় মন্দ কী?

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি গোছা খড় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। কাচা ঘান প্রতি আটি ৩০ টাকা, গমের খোসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ছোলার খোসা ৯০ টাকা, ভুট্টা ভাঙা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী রাফিকুল ইটিভিকে জানান, তিনি সারাবছর ফেরি করে নানা ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করেন। বছরের এই সময়ে খড়কুটা বিক্রি করে তিন থেকে চার দিনে তিনি ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করেন। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও এ ব্যবসা করছেন বলে জানান।

আর/ডব্লিউএন