ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

যে গ্রামে প্রবেশে অনুমতি নিতে হয়

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার

সাধারণত একটি দেশে বিদেশীদের প্রবেশ করতে প্রয়োজন হয় পাসপোর্ট ও ভিসার। কিন্তু একটি গ্রামে প্রবেশ করতে আলাদা করে অনুমতি লাগে। এ আবার কেমন গ্রাম। এমন গ্রাম দেখেছেন কখনো?


এমন গ্রামের অবস্থান অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশ ফিজিতে। গ্রামটিতে প্রবেশে বহির্দেশের নাগরিকদের তো অনুমতি লাগবেই। ফিজির নাগরিক হলেও গ্রামটিতে প্রবেশ করতে লাগবে অনুমতি।


চারদিকে সাগর দিয়ে ঘেরা ভানুয়া লেভু দ্বীপের ছোট্ট ওই গ্রামের নবুওলা। সাধারণ লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন নির্জন এই দ্বীপের গ্রামটিতে প্রবেশ করার অনুমতি নিতে আগন্তুককে দিতে হবে এক গোছা ‘কাভা গাছের শিকড়’। ফিজি’র প্রাচীন সংস্কৃতি অনুযায়ী কাভা গাছের এই শিকড় উপহার হিসেবে প্রদান করাকে বন্ধুত্ব ও সম্মানের নিদর্শন মনে করা হয়।


তাই একজন আগন্তুককে তার বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের নিদর্শন স্বরুপ গ্রামে প্রবেশের অনুমতি পেতে উপহার হিসেবে দিতে হবে এই কাভা শিকড় যা স্থানীয়ভাবে ‘ইয়াকোনা’ নামে পরিচিত। অবসাদ দূরীকরণের ওষুধ হিসেবে কাভা গাছের শিকড় ব্যবহৃত হচ্ছে অনেক দিন থেকেই।


ফিজির বহু পুরনো লোকজ সংস্কৃতি হিসেবে বিভিন্ন গ্রামীণ সমাজে এখনও এসব রীতিনীতি পালন করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে যেমন অতিথি ওয়াইন বা শ্যাম্পেন নিয়ে যান তেমনি ফিজির এই গ্রামগুলোতে প্রবেশের সময় গ্রামবাসীর জন্য এমন উপহার নিয়ে যেতে হয়। এটিকে স্থানীয় ভাষায় ‘সেভুসেভু’ বলে আর যেসব গ্রামে এমন উপহার ব্যবস্থা চালু আছে সেগুলো ‘সেভুসেভু গ্রাম’ নামে পরিচিত।


ফিজির সংস্কৃতি থেকে জানা যায়, অতিথির সঙ্গে স্থানীয়রা আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তাদের আতিথিয়তা ধরণও বেশ গাঢ়। অনুমতিপ্রাপ্ত আগন্তুককে কাভা শিকড়ের এক ধরনের জুস বা ‘গ্রগ’ দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। আগন্তুককে ওই তা পান করতে হয়। অনুমতিপ্রাপ্ত অতিথি পুরো গ্রামেরই একজন সদস্য হয়ে যান। সূত্রঃ বিবিসি।
//এআর