ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কম বয়সে বিয়ে করার সুফল

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৫:২১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার

বিয়ের আদর্শ বয়স কোনটি তা নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। অনেকে বিয়ে করেন ৩৫ বছর বয়সে, অনেকে কুড়িতে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌবনের শুরুতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা উচিত, এতে জীবনটা অনেক বেশি সহজ মনে হবে আপনার কাছে। বহু রোগ থেকেও মুক্তি মিলবে। কীভাবে চলুন জেনে নিই।

*একটা সময় পর মানুষের যৌনাকাঙ্খা ও ক্ষমতা কমতে শুরু করে। পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। তাই বিয়ে সেরে ফেলুন সময়মত।


*সন্তানের জন্য খুব ভালো পিতা-মাতার উদাহরণ হতে পারবেন যদি বিয়ে আগে করে ফেলেন। সত্যি বিষয়টি কেউ মানুন আর নাই মানুন না কেন সামগ্রিকভাবে মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমে এসেছে। আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টিও পিছিয়ে যাবে এবং আপনার মানিসকতাও কিন্তু দিনকে দিন নষ্ট হতে থাকবে।


*আপনি যদি বয়স ৩০ পার করে বিয়ে করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে বিয়ে করার কথা তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করে ফেলা ভালো, যখন আবেগ কাজ করে অনেক।
*বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য কতটা সময় পান? বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে। আর একবার সন্তান হয়ে গেলে দুজনের একান্ত সময় কাটানো আর হয়ে উঠে না। কিন্তু অল্প বয়সেই বিয়ে করে ফেললে সঙ্গীর সঙ্গে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে।


*‘একজনের চেয়ে দুজন ভালো’- বিষয়টি নিশ্চয়ই না বোঝার কথা নয়। একাই সুখ দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দুজনে ভাগাভাগি করে নিলে অনেকটা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অল্প বয়সেই বিয়ে করলে দুজনের জীবনের সবকিছুই ভাগ করে নেয়া যায় বলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে।


*দুর্ঘটনাবশত অনেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত ঠিক নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়ছে। জলদি বিয়ে করার কিন্তু এই দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে অল্পতেই ভেঙে যায় তাহলে জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায় যা দেরিতে বিয়ে করলে পাওয়া সম্ভব হয় না।


সূত্র : এই সময়।
//এআর