ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

টিকা দেওয়া হচ্ছে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৭:৩৪ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে হাম, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস বি ও সি এর মতো সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। শুধু তাই নয় পাওয়া গেছে এইডসে আক্রান্ত রোগীও।

এই অবস্থায় প্রায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে টেকনাফ ও উখিয়ার প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে হাম ও পোলিও টিকা দেওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। এর আওতায় ছয় মাস বয়স থেকে ১৫ বছর বয়সের সব শিশুকে হামের টিকা দেওয়া হবে। আর পাঁচ বছরের নিচে সকল শিশুকে পোলিও রোগের টিকা খাওয়ানো হবে। এছাড়া ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের সকল শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন মো. আবদুস সালামের বরাত দিয়ে একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শিশুই কখনও টিকা নেয়নি। যারা দুই একজন নিয়েছে তারাও নিয়ম মেনে নেয়নি। তাদের অনেকে হাম, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। এছাড়া ওইসব শিশুর বেশির ভাগই অপুষ্টির শিকার বলেও জানান আবদুস সালাম।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২৫ আগস্টের পরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আর এর মধ্যে ২ লাখ বা অর্ধেকই শিশু। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউনিসেফ বলছে, সেই দূর রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে এসে শিশুরা অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এছাড়া ওই সব শিশুদের বেশিরভাগই অপুষ্টিতে ভুগছে।

ইউনিসেফ বলছে, তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল, বাসস্থান ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা উচিত।

জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে চিকিৎসক, সরকারি হাসপাতালের নার্সরা এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, দেশি-বিদেশি এনজিও এই কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন বলেন, কর্মসূচিটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পাশের উপজেলাগুলো থেকেও চিকিৎসক ও নার্সরা সহায়তা করছেন।

এদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার দুটি ইউনিয়নেও বিশেষ টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন অংশুই প্রু মারমা।

আরকে/ডব্লিউএন