ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

কানাডায় সু চির নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১০:৫৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় কানাডায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি উঠেছে। রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ছাড়াও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিকরা বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে এ দাবি তুলে ধরছেন।

ইন্টারনেটে এ বিষয়ে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন চলছে, যেখানে পাঁচ দিনে প্রায় নয় হাজার মানুষ সই করেছেন। শনিবার টরেন্টোতে কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত এমন এক সমাবেশে অংশ নেন খোদ কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।

রাখাইনে চলমান সেনা অভিযান সম্পর্কে ফ্রিল্যান্ড বলেন, মিয়ানমার সরকারের অভিযান মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। কানাডার সরকার এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।

মিয়ানমারের নেত্রী সু চিকে ২০১২ সালে কানাডার সন্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। কানাডার ১৫০ বছরের ইতিহাসে বিশ্বের মাত্র ছয়জনকে সন্মানসূচক এ নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছয়জনের মধ্যে সু চিসহ চারজন আবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।

কানাডার আইনে সাধারণ নাগরিক ও সন্মানসূচক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে দেশটির প্রচলিত আইনে কোনো নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা কানাডা বা কানাডার বাইরে সরাসরি বা অন্য কোনো উপায়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধে জড়িত হলে, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে ইন্ধন যোগালে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী একটি অংশ সম্প্রতি রাখাইনের পুলিশ পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে হামলা চালানোর পর পাল্টা সেনা অভিযানে ইতোমধ্যে চার লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

সেখানকার সেনা নির্যাতন, হত্যা ও নারী ধর্ষণের ভয়াবহ বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে পালিয়ে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের মুখে। রোহিঙ্গা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিতেও দেখা গেছে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে। তবে রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে সু চি বলে আসছেন, রাখাইনের অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ‘ভুয়া খবর’ আসছে।

এ ভূমিকার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছেও সমালোচিত হচ্ছেন সু চি। ইতোমধ্যে তার নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ারও দাবি উঠেছে।

কানাডা প্রবাসী আইনজীবী ফয়সল কুট্টি ও ওয়াসিম আহমেদ এক বিবৃতিতে সু চির কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানান।

আরকে/ডব্লিউএন