ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

রাখাইনে অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ীদের বিচার হবে: সু চি

প্রকাশিত : ১০:৪০ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫২ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি মানবাধিকার লংঘনের নিন্দা জানিয়েছেন। রাখাইন রাজ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী যে-ই হোক না কেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে জানিয়েছে শান্তিতে নোবেল জয়ী এই নেত্রী। বলেছেন, রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই। মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।


দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী বলেন, আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না। পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইন পরিদর্শনে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে জানান, আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তাঁর সরকার কাজ করবে।


সু চি এও বলেছেন যে, রোহিঙ্গা সঙ্কটে তার সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হুশিয়ারিতে তার সরকার বিচলিত হন।  


সু চি বলেন, আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করি। রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। রাখাইনে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

সু চি তাঁর ভাষণে সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছেন। সু চি`র এ ভাষণ নিয়ে বিশ্ব নেতাদের মাঝে প্রবল আগ্রহ ছিল। মিয়ানমারের নেত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণে ভীত নন। রাখাইন অঞ্চলে সংঘাতের নিরসনের জন্য একটি টেকসই সমাধানের উপর জোর দেন সু চি। টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, বেশ কিছু মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে- এ ধরনের খবর শুনে আমরা উদ্বিগ্ন।

কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সেনাবাহিনীর অভিযান বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ হবে সু চি`র জন্য শেষ সুযোগ। কিন্তু এ `শেষ সুযোগ` বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সেটি ব্যাখ্যা করেননি জাতিসংঘের মহাসচিব।
বিস্তারিত আসছে....

//এআর