ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ছয় কোটি ইউরো দিবে জার্মান

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৫৯ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ছয় কোটি ইউরো সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে জার্মান সরকার। সরকারের জরুরি ত্রাণ তহবিল থেকে এই সহযোগিতা দেওয়া হবে। জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফান সাইবার্ট সোমবার বিকালে বার্লিনে এই ঘোষণার কথা জানিয়েছেন।

স্টেফান সাইবার্ট বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীরা এই মুহূর্তে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া এ ঘটনা মানবতার বিরুদ্ধে আগ্রাসন।

বার্লিনের এই সাহায্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের সহযোগিতায় সীমান্তের দুই দিকে জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক চাহিদার জন্য ব্যয় করা হবে।

এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় মিয়ানমার সরকারকে উপদ্রুত রাখাইন রাজ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাহায্য সংস্থাগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহযোগিতার ঘোষণা দেওয়ার আগে জার্মানির পরিবেশবাদী সবুজ দল সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, জার্মান সরকার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছেন না।

পরিবেশবাদী সবুজ দলের নেতা ফলকার বেক বলেছেন, মাত্র চার সপ্তাহের মধ্য চার লাখের বেশি শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রয়োজনে এই শরণার্থীদের জার্মানিতে বা ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে আশ্রয় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন তিনি।

পরিবেশবাদী সবুজ দল মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। পরিবেশবাদী দলের দুই নেত্রী ও সাংসদ রিনেটা কুর্নাস্ট ও উভে কেক্রিজ জার্মানির উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী গ্রেড মূলারকে চিঠি দিয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া অবিলম্বে মিয়ানমারের তৈরি পোশাকশিল্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে রপ্তানি বন্ধের জন্য প্রচেষ্টা চালানোর কথাও বলেছেন তাঁরা।

জার্মানির শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জাতিসত্তার ওপর অত্যাচার ও নিজভূমি ছেড়ে বন্ধুর পথে বাংলাদেশে চলে যাওয়ার ঘটনা গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে।স্পিগেল অনলাইন সংস্করণ।

আরকে//এআর