ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

৭৭ রানে সাজঘরে মুমিনুল

প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৭:০০ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার

ব্যাটিংয়ে যখন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ, সেই সময়ই জ্বলে উঠেছিল মুমিনুলের ব্যাট। টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানদের দেখিয়ে যাচ্ছিলেন কীভাবে ধৈর্য ধরে ব্যাট চালাতে হয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ঘূর্ণি বোলার মহারাজের সফট ডিসমিসালের শিকার হয়ে মুমিনুল হতাশায় ডুবিয়ে দেন টাইগার সমর্থকদের। বাঁহাতি স্পিনার মহারাজের বলে মুমিনুল ৭৭ রানে আউট হলে আবারও বিপাকে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার চাপিয়ে দেওয়া রানের বোঝা সামলাতে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষে করেছিল ৩ উইকেটে ১২৭ রান। আজ তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৯১ রান যোগ করে ৪ উইকেটে ২১৮ রান তুলে লাঞ্চে গিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ হারিয়েছে শুধু তামিম ইকবালকে (৩৯)। বাংলাদেশকে আশা দিচ্ছিল মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহর অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটি। এই জুটি ভেঙেছে ৬৯ রানে। ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশের আরও প্রয়োজন ৬১ রান। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ২৬০ রানে।

মুমিনুল সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছেন ২০১৪ সালের নভেম্বরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। বাঁহাতি এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান এরপর ১১ টেস্টে ১৯ ইনিংস খেললেও তিন অঙ্কের দেখা পাননি আর। পচেফস্ট্রুমে পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল মুমিনুলের সামনে। তিনি গত দুই বছর যে কবার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছেন, প্রতিটিতে আউট হয়েছেন ৬০ থেকে ৮০ রানের মধ্যে। মুমিনুলের ফাঁড়াটা কাটেনি আজও। তবে আল শাহরিয়ারের ৭১ রানকে টপকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানটা করতে পেরেছেন তিনি। ৩৪ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহর সামনে এখনই সেঞ্চুরির হাতছানি নেই। তবে পচেফস্ট্রুম টেস্ট বাঁচাতে হলে ইনিংসটা লম্বা করতে হবে তাঁকে। তাঁর সঙ্গী বেনোনিতে প্রস্তুতি ম্যাচে জোড়া ফিফটি করা সাব্বির রহমান।

আরকে/ডব্লিউএন