সব রোহিঙ্গাকে কুতুপালং ক্যাম্পে রাখা হবে: ত্রাণমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০২:২৪ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৩৪ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৭ শুক্রবার

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে অস্থায়ীভাবে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে রোহিঙ্গাদের একই স্থানে রাখতে অন্যান্য সব ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব কথা জানান।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, গত ২৫ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৫ লক্ষাধিক। তাদের সবাইকে কুতুপালং ক্যাম্পে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে নিরাপত্তা, খাদ্য সরবরাহ, স্যানিটেশন, রেজিস্ট্রেশন ও চিকিৎসা দেয়াসহ সব কাজ সুচারুভাবে করার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পের বাইরে যে সব ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা বর্তমানে আছেন ক্রমান্বয়ে তা গুটিয়ে নেয়া হবে। ইতিমধ্যে ক্যাম্পের বাইরে পাহাড়ি এলাকায় ও অন্যান্য স্থানে যে সব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। রোজ গড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার লোকের রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এ কাজে সেনাবাহিনী ও পাসপোর্ট অধিদফতর সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।
মায়া বলেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে দুই দফা সমন্বয় সভা হয়েছে। সভা থেকে সব মন্ত্রণালয়কে ২২টি নির্দেশনা পাঠানো হয়। এর আলোকে সব মন্ত্রণালয় দিনরাত কাজ করছে।কুতুপালং ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক ব্লকে একটি প্রশাসনিক ও পরিসেবা ইউনিট ও একটি গোডাউন স্থাপন করা হচ্ছে। এতে সেবা দেয়া সহজ হবে। পরবর্তী সময়ে ব্লকগুলো ক্যাম্পে রূপান্তর করা হবে।
মায়া চৌধুরী বলেন, ৪ লাখ ২০ হাজার লোক হিসাব করে প্রথমে ৮৪ হাজার শেড নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। সেখানে ৭৫ হাজারেরও বেশি শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোট এক লাখ ৫০ হাজার অস্থায়ী শেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশি বিদেশি এনজিওদের সহায়তায় এগুলোর দ্রুত নির্মাণ শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামালসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/আর/এআর