ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের ফিরতে বাধ্য করা উচিত হবে না : অ্যামনেস্টি

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:০৪ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

মিয়ানমারের রাখাইনে মানবাধিকার হরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকির মুখে জোর করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে ফেরত পাঠানো উচিৎ হবে না বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আলোচনার পর বিপন্ন শরণার্থীদের সুরক্ষায় এমন অবস্থান নিয়েছে অ্যামনেস্টি। জোরপূর্বক যেন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো না হয়, তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছে এই সংস্থাটি।

গত সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র দফতর মন্ত্রী টিন্ট সোয়ে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার দফতর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালের যৌথ ঘোষণার ভিত্তিতেই রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের দুই দেশের মধ্যেকার যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন হতে হবে স্বেচ্ছামূলক। জোর করে কাউকে ফেরত পাঠানোর আইনগত সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত না পাঠানোর  ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপর দেশটির সেনাবাহিনীর নিপীড়নের ঘটনাকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বুধবার সংস্থাটির আন্তর্জাতিক ইস্যু বিষয়ক পরিচালক অড্রি গোরান এই সতর্কতা জারি করেন। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠককে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফেরার ব্যাপারটি অবশ্যই স্বেচ্ছামূলক হতে হবে। তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং তাদের মর্যাদার ব্যাপারটি খেয়াল রাখতে হবে। ভয়াবহ মানবাধিকার হরণ, কাঠামোগত বৈষম্য আর পৃথকীকরণ-এর পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকা অবস্থায় তাদের ফিরতে বাধ্য করা যাবে না।`

এমআর/ডব্লিউএন