ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ঢাবির সাত কলেজ

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে নীলক্ষেতে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত : ১০:১৪ এএম, ৮ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৪:৫৭ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রেখেছে। এতে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর কয়েকটি রুট। তাদের এই বিক্ষোভের কারণে রোববার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় হয়ে আটটি সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভ থেকে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

পুলিশ আসাদগেট ক্রসিং থেকে নিউমার্কেটের দিকে সড়ক বন্ধ করে যানবাহনগুলোকে ফার্মগেট হয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নিউ মার্কেট থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বেলা  পৌনে ১০টার দিকে কয়েকশ শিক্ষার্থী এসে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে চৌরাস্তার সঙ্গে যুক্ত সবগুলো সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন ছাত্র বলেন, মূলত চতুর্থ বর্ষের স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশসহ পাঁচ দফা দাবিতে তাঁরা সকাল নয়টা থেকে নীলক্ষেতের মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর চতুর্থ বর্ষের ফল গত মে মাসে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ তাঁদের ফল এখনো প্রকাশ না হওয়ায় তাঁরা স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তিও হতে পারছেন না।

গত বৃহস্পতিবার তাঁরা পাঁচ দফা দাবিতে শহীদ মিনারে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফল প্রকাশ ছাড়া অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে, ১ হাজার ২০০ ছাত্রের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, তৃতীয় বর্ষের রুটিন প্রকাশ করা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট খোলা।

পুলিশ জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সাত কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৩৬ জন শিক্ষার্থী ও ১ হাজার ১৪৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।